পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-অমানি মত প্রকাশ করিবার পর নানা জনে সপক্ষে বিপক্ষে নানা কথা বলিতে লাগিলেন ; কেহ বা শাস্ত্র-বচন তুলিয়া আসর গরম করিবার আয়োজন করিলেন, কেহ বা মস্তক সঞ্চালন পূৰ্ব্বক যুক্তি প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। শীতল ঠাকুর আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না ; তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ এই আলোচনায় জলিয়া উঠিল। সে একটু উচ্চৈঃস্বরে বলিল “মশাইরা একটু থামতে পারেন। এই শীতল ভট্টাচাৰ্য্যও ত গ্রামের একজন ব্রাহ্মণ ; তার কথাটাও ত শুনতে ङ्य़ (* কে একজন বলিল “তোমার আবার কথা! তুমি জান গাজী আর ভাঙ্গ।” শীতল ঠাকুর উত্তেজিত হইয়া বলিল “আরে বাবু, স্বধু গাজা আর ভাঙ্গ জানব কেন, অনেক কথাই জানি। বলি, এই যে তোমরা ‘জাত গেল’, ‘জাত গেল’ বলে একটা হল্লা তুলেছ, তোমাদের লজ্জা করে না ? আমার কাছে বাপু স্পষ্ট কথা । আমি তোমাদের ন-আনি সাত-আনি— কারে বাগানের পাতাটুকু কেটেও ভাত খাইনে। ব্রহ্মোত্তর ভোগ,—কারো তোয়াক্কা রাখি নে। আমার কাছে সোজা কথা শোন । এই যে সিধু বাবুকে একঘরে করতে চাচ্চ, কিন্তু তার মত মানুষ তোমাদের এই দেবীপুরে—শুধু দেবীপুর কেন, আশপাশে দশখান। গায়ের মধ্যে দেখাও দেখি। ও-যব বামনাইয়ের বড়াই এই শীতল ঠাকুরের স্বযুখে করে না—নেশাথোর মানুষ—এই সভার মধ্যে সব ভেঙ্গে দেবে।” "Σ' ω Ψ)