পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি বাহিরের বারান্দায় আসিলেন। শীতল উঠিয়া দাড়াইতেই সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “ও কি শীতল ঠাকুর, তুমি উঠলে যে, বোস বোস।” শীতল বলিল “আরে বাপ রে, আপনি হলেন নয়-আনির জমিদার, আর আমি একেবারে এককড়ি । আমি কি আপনার সুমুখে বসতে পারি। নেশাট-আসটাই করি বড় বাবু, কিন্তু মানীর মান রক্ষা করতে ভুলিনে। তবে আজকে—হাঃ হাঃ হাঃ ।” “আজকে কি হয়েছে! তুমি যে হেসেই গেলে ।” *আর বড় বাবু, আজ যে কাণ্ডটা করে এসেছি—তা মনে হলে যে হাসি চাপতেই পারিনে। সে ভারি মজার কথা—হাঃ হাঃ হাঃ ।” “ঠাকুর, তা হলে তুমি আগে খানিকট হেসে নেও, তারপর কথা বোলো। রাত্রি কিন্তু নট, আহারাদি হয়ে ভূ ত ? এত রাত্রে এমন কি মজার কথা নিয়ে এসেছ ” শীতল বলিল “আহারের কথা বলছেন ? ও-সব হাঙ্গামা রাত্তিরে আর করিনে। এই বাড়ী গিয়ে এক ছিলিম তামাক খেয়ে আর কি, একেবারে শয়নে পদ্মনাভ।”

  • আচ্ছ সে কথা পরে হবে ; এখন বলত, কি কথার জন্ত তুমি এসেছ ?”

শীতল বলিল “সে অনেক ব্যাপার! দাড়িয়ে শোনবার কথা নয় ; আপনি বসুন, আমি ধীরে-ধীরে বলছি।” সিদ্ধেশ্বর একখানি চেয়ার টানিয়া লইয়া বসিয়া বলিলেন “তুমিও এখন বোসে । বোসে, তারপর তোমার কথা বল।” Y - 8