পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেণল-অমালি বলিলেন “মনোহর বাবু বোধ হয় আর কিছু করতে সাহস পাবেন না । হয় ত কা’ল সকালে শীতলকে ডেকে ঠাণ্ড করে দেবেন।” শীতল বলিল “কি, আমাকে ঘুস দেবে ? তা হবার যে নেই। মনোহর চাটুয্যে যদি বড় বাবুর বিরুদ্ধে কিছু একটু করে, তা হ’লে আমি একেবারে দেশে-বিদেশে ঢোল পিটিয়ে দেব, খবরের কাগজে পর্যন্ত সব কথা তুলে দেব। আর কিছু করতে হবে না—সাতআনি একেবারে আধ-আনি হয়ে গিয়েছে বড় বাবু!” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “কাকা-বাবুর পক্ষে আজকার দিনটা দেখছি বড়ই খারাপ গেল। এই বিকেল বেলায় আমার সঙ্গে কথাস্তর হোলো ; তারপর এই এখন শীতল ঠাকুরের সঙ্গে ! সে কথা থাকুক, আপনাকে কষ্ট দিলাম একটা কথার জন্ত । আপনি বিজ্ঞ, বিচক্ষণ, শাস্ত্রজ্ঞ ; আপনি সৰ্ব্বাংশেই আমার হিত চিন্তা করেন। আপনিই বলুন ত, আমরা কি অন্তায় কাজ করেছি ? এই কথাটা জানবার জন্তই মা আপনাকে ডেকে আনৃতে বলেছিলেন: এর থেকে আপনি এমন বুঝবেন না যে, আমরা সঙ্কল্প ত্যাগ করব । তবুও আপনাকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা কৰ্ত্তব্য মনে করেই বলছি।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন “দেখ সিদ্ধেশ্বর, তোমাদের এ কার্য্যকে আমি কিছুতেই অন্তায় বলতে পারব না ; তোমরা যা করেছ,তাহাই করা প্রকৃত মমুস্থ্যের কৰ্ত্তব্য । তবে কথা কি জান, ঐ প্রকার অত্যাচারগ্রস্থা স্ত্রীলোককে এতদিন কেহ সাহস করিয়া সমাজে স্থান দিতে পারে নাই । কিন্তু সনাতন טי מכי