পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোল-তালি হিন্দুধৰ্ম্ম এখন হৃদয়হীন ধৰ্ম্ম নয় যে, নিরপরাধী বিধবার উপর এমন অবিচার করতে পারে। শাস্ত্রের বিধান মানতে হবে বটে, কিন্তু কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণ করবার সময়, জান ত বচনই আছে— কেবলম্ শাস্ত্রমাশ্রিত্য ইত্যাদি । তোমাকে ত আর সে কথা বিশেষ করে বলতে হবে না । তোমরা যা করেছ, তা সমাজে প্রচলিত নেই ; কিন্তু তাই বলে যে অকৰ্ত্তবা, এ কথা আমি বলতে পারব না।” সিদ্ধেশ্বর পুনরায় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের পদধূলি লইয়া বলিলেন “বেশ, তা হোলেই হোলো । আপনি একবার অন্দরে যান, মা আপনার প্রতীক্ষায় বসে আছেন। চৈতন, ঠাকুর মশাইকে একটা আলো দেখিয়ে মার কাছে নিয়ে যা ; আর তাকে ব’লে আয় যে শীতল ঠাকুর এখানে আহার করবে।” শীতল বলিল “বড় বাবু, এ শাস্তি আমাকে বিনা দোষে দিচ্ছেন কেন ? এই রাত্ৰি নটার সময় আঙ্গার । তাও আবার যে-সে বাড়ীতে নয়, নয়-অানির বড় গিন্নীর কাছে । না, বড় বাবু, এ অত্যাচার সইবে না।” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “শীতল ঠাকুর, সে জন্ত ভয় নেই। বাড়ী যাবার সময় কিঞ্চিৎ বড়-ভ্ৰামাকও তোমার চাদরে বেঁধে দেবার ব্যবস্থা করে দেব । তা হলে ত আপত্তি নেই ।” শীতল বলিল এক-হিসেবে আপত্তি নেই ; কিন্তু লজ্জ ব’লে একটা জিনিস ত আছে বড় বাবু! নেশাটা যে ভাল নয়, তা বেশ বুঝি ; কিন্তু ঐ যে বলে জানাম্যধৰ্ম্মং ন চ মে নিবৃত্তি:—আমারও ➢ > ፃ