পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তলালি তোমাকে একঘরে করবার জন্য সেদিন আমাদের বাড়ীতে একটা বিরাট সভার অধিবেশন হয়েছিল। ‘বিরাট কথাটা শুনে চমকে যে ও না দাদা ! ওটা খবরের কাগজের প্রিয় বিশেষণ ; ১৫ জনেয় মিলিত সভা হলেও খবরের কাগজে বেরিয়ে যায় একটা বিরাট মহতী সভা। এটাও সেই হিসাবে বিরাট ; অর্থাৎ কি না এই পাড়ার পাচ সাত জন সভায় সমবেত হয়েছিলেন ; তার মধ্যে না কি বিনা আহ্বানে এক মহারথীর আবির্ভাব হয়েছিল। সে আর কেহ নহে—শীতল ঠাকুর ! দেখ, আমি তোমাকে বলছি, এই গাজী-খাওটা বাদ দিলে শীতল ঠাকুর একটা মানুষের মত মানুষ ! গাজা ছাড়া তার আর কোন দোষ নেই। সেইদিনের সে মজলিস হয়েছিল, সেটা তোমাকে একঘরে করবার জন্য । সে সঙ্কল্প একেবারে উলটে দিয়েছে ঐ শীতল ঠাকুর । বাহাদুর লোক বটে ! সে না কি গ্রামের অনেকের, এমন কি যারা সেই মজলিসে উপস্থিত ছিলেন তাদেরও, দুই একজনের মহাপাপের কথা উল্লেখ করে প্রথমে তাদের একঘরে করতে বলেন ; তার পর তোমার অপরাধের বিচার । আরও শুনলাম, সে না কি বাবাকেও অতি ভীষণ ভাবে আক্রমণ করেছিল। কথাটা শুনে আমার দুঃখ যে না হয়েছিল, এমন কথা দাদা, তোমাকে বলতে পারব না ; কিন্তু, এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে নিরপেক্ষ ভাবে বলতে গেলে, শীতল ঠাকুর কিছুই মিথ্যা বা অন্তায় বলে নাই। তোমার শিক্ষা এই যে, কাউকে অপ্রিয় সত্য না বলাই ভাল। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে ও-উপদেশে মেনে চললে ফল ভাল হয় না। এই ত সেদিন যদি

  • २ रै