পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি দিল। মুখে-চোখে মাথায় জল দেওয়া হইতে লাগল ; পাথার বাতাস করা হইতে লাগিল ; ডাক্তার ডাকিবার জন্ত লোক ছুটিল । হরিহর তথন কলিকাতায় ; একজন ভৃত্য দৌড়িয়ঃ নয়-আনিতে ংবাদ দিতে গেল । সংবাদ পাইবামাত্র সিদ্ধেশ্বর দৌড়িয় আসিলেন ; একটু পরেই রমামুন্দরা আসিলেন ; ডাক্তারও আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ডাক্তার পরীক্ষা করিয়া বলি:ণন “সব শেষ হইয়। গিয়াছে ; শর্ট ফেল করিয়াছে।” সিদ্ধেশ্বর ত{হার কাকাবাবুর পায়ের কাছে বসিয়া কাদিয়া উঠিলেন। সাত-আনির জমিদার-লীলা এক মুহূৰ্ত্তের ভর ও সহিল না । সংবাদদাত কৰ্ম্মচারী সখন বণি যে, মমিনপুরের মোকদ্দমার কথা শুনিবা মাত্রই ছোট কৰ্ত্ত। কেবল চীৎকার করিয়া বলিলেন “সিধু রে—,” আর কিছুই বলতে পরিমেন না, তপন সিদ্ধেশ্বর বাবুর বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল। মৃত্যু-সময়ে হরিহরের নাম তাছার মুখে আসে নাই, ভগবানের নাম ও তিনি করেন নাই,-- ভাকিয়াছেন সিদ্ধেশ্বরকে ; তাহারই নাম করিয়। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়াছেন । সিদ্ধেশ্বর এই কথা শুনিয়া একেবারে আকুল হইয়া পড়িলেন ; কঁদিতে কাদিতে বলিলেন “কাকা-বাবু, তোমার সিধুকে কি জষ্ঠ ডেকেছিলে ; একবার বল ;–একটী কথা বল ! আমিই কাকা-বাবুকে মেরে ফেলেছি ” সকলে তাহাকে সাস্তুন দান করিতে লাগিল । কিন্তু সিদ্ধেশ্বরের শোকের বেগ আর থামে না ;—তিনি চাংকার করিয়া বলিলেন “ও ম, শুনলে ত, কাকা-বাবু হয় ত আমাকে কি বলতে চেয়েছিলেন, >S)8