পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি বৎসর মরেই ছিলেন ; সুধু কষ্ট পাচ্ছিলেন ; তার ত মরা নয়, বঁচে । তা, সে কথা ভেবে আর কি হবে । তারপর ধর, জ্যেঠাইমার যা মনের কথা, তা আমি টেনে বার করে দিলাম ; তাতেই বা দোষ কি হোলো। হ্যা জ্যেঠাই মা, দোষ হয়েছে ?” রমামুন্দরী বলিলেন “ন, তোমার কোন অপরাধ হয় নি। তুমি অমনি সদানন্দ হয়েই বেঁচে থাক ; বংশের নাম রাথ। তার পর শোনো সিদ্ধেশ্বর, ও পাগলট যা বলল, আমার যে সে ইচ্ছা নয়, এ কথা কেমন করে অস্বীকার করি। যতদিন বেীমা বেঁচে ছিলেন, ততদিন ঐ প্রস্তাব কত জন আমার কাছে করেছিল ; তোমার কাকা-বাবু পর্যন্ত ঐ কথা বলে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমি কোন কথায় কাণ দিই নাই । তা কি আমি পারি? যাকে আদর করে গৃহলক্ষ্মী করেছিলাম, সে রোগে কাতর বলে তাকে ত মেরে ফেলতে পারিনে। আমি যদি পূৰ্ব্বে আবার ছেলের বিয়ে দিতাম হরিহর, তা হ’লে আমার বেীমা কি এত দিন বেঁচে থাকৃতেন। বুকে কি আঘাত পেয়েই মা-লক্ষ্মী আমার চলে যেতেন। আমি কি তা বুঝতে পারিনি। তাই আমি ছেলের পুনরায় বিয়ে দেবার কথা তখন মনেও আনি নাই ; বৌমার রোগ নিবারণের জন্ত যত চেষ্টা করতে হয়, করেছি। তার পর সময় হয়ে এল ; তিনি স্বামীর কোলে মাথা রেথে চ’লে গেলেন । কি করব বল ? চেষ্টা যত্নের কিছুই ক্রটা করি নাই। অদৃষ্ট মন্দ, কিছুই হোলে না। এই সেদিন তিনি চলে গেছেন, আর আজই যে আমি সিধুকে বলি, বাবা আর একটা বিয়ে কর, এমন হৃদয়হীন মা Ᏹ Ꮥ 8