পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল আনি কেমন হরিহর, তুমি এতে সম্মত আছ ? কেমন না, তুমি মুহারকে ভিক্ষ দেবে ?” রমাসুন্দরী বলিলেন “বাবা সিদ্ধেশ্বর, তোকে আমি সার্থক পেটে ধরেছিলাম। আজ তোর কথা শুনে আমার প্রাণ শীতল হয়ে গেল। আমি সুহারের বিবাহের কথা কত চিন্তা করেছি। কি যে করব, তা ভেবে পাইনি। বার বছরের মেয়ে। তুই যা স্থির করেছিস সধু, তার চাইতে সুষ্ঠারের সৌভাগের কথা আর কি হতে পারে ? পারবি বাবা হরিহর, সুহারকে বিয়ে করতে ? সমাজে কিন্তু গোল হবে, সে কথা বলে রাখছি।” হরিহর বলল “দাদ যে এমন কথা বলবে, এ আমি মোটেই ভাবিনি জ্যেঠাইমা ! কিন্তু, আমি ত কথা দিয়েছি, দাদা আমাকে ষা বলবে, আমি তাই করব।” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “দেখ হরিহর, আমি এই এতদিন সুহারকে দেখে আসছি ! কি যে সুন্দর মেয়ে ! রূপের কথা বলছিনে, তুই ত তাকে দেখেছিসই ; আমি গুণের কথা বলছি। এমন মেয়ে আমার চোখে বড় কম পড়েছে । তুই সুখী হবি হরিহর, এ ভবিষ্যদবাণী আমি করছি। দেখ মা, হরিহরের কালাশৌচ না গেলে ত বিবাহ হতে পারে না ; তাই আমি অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম।” রমাসুন্দরী বলিলেন “কালাশৌচ অবস্থাতেও বিবাহের বিধান আছে ; বিবাহের পূৰ্ব্বে সমস্ত সপিওকরণ শেষ করলে আর বিবাহে বাধা হয় না ; বিশেষ কষ্ঠ। যদি অরক্ষণীয়া হয়।”

  • 8ty