পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তলানি o অপেক্ষা কর, আমি এখনই আসছি।” এই বলিয়া ঘরের বাহির হইয়া গেলেন । হরিহর বলিল “দাদা, তুমি যে এমন করবে, তা আমি কিন্তু মোটেই ভেবে উঠতে পারি নি। দেখ, সমাজের ভয় আমি করিনে ; সে কথা ত তোমাকে আমি আগেই বলেছিলাম। আরও বলেছিলাম যে, যে ব্যাপার নিয়ে তুমি সমাজের সঙ্গে লড়াই করতে দাড়িয়েছ, আমি তাতে সাহায্য করতে চাই। তুমি আমাকে সেই ভার আজ দিলে। অন্ত কারণেও না হোক,সামাজিক কারণেই আমি এ বিবাহে সম্পূর্ণ মত দিচ্ছি। একটা দলাদলি হবে। তা চোক্‌ না। আমরা সত্যি-সত্যিই একঘরে হব না। এবার কলকাতায় গিয়ে এ সম্বন্ধে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা শিক্ষিত, র্তায় সকলেই আমাদের পক্ষ অবলম্বন করবেন। সেজন্য তুমি ভেবে না। জমিদারী নিয়ে ত আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা হবে না ; এখন কিছুদিন দলাদলিই করা যাক।” সেই সময় রমাসুন্দরী মানদাকে লইয়া সেই ঘরে আসিয়া বলিলেন “মানদা, তোকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করলেও হোতো ; তবুও তুই সুহারকে গর্ভে ধরেছিস্, তাই তোকে বলতে হয়। তুই ত মেয়ে-মেয়ে করে ভেবেই অস্থির হয়েছিলি ; আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছিলি । তুই ত বলেছিলি যে, কোন ব্রাহ্মণ-সন্তানই তোর মেয়েকে বিবাহ করে পতিত হতে স্বীকার করবে না । সিধু তোর মেয়ের জন্ত বর ঠিক করেছে। ব্রাহ্মণের ছেলে—তাতে তোর কোন ভয় নেই ।” Y & 9