ষোল-তমালি
রমাসুন্দরী বলিলেন “ভগবান যা করেন, তাই হয়। র্তারই দয়ায় এই অঘটনও ঘটিয়া গেল।”
সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “ম, তুমি বল্ছ বটে যে, এক বৎসরের মধ্যেই সপিণ্ডকরণ শেষ করে বিবাহ হতে পারে । কিন্তু, তা কাজ নেই। বছরটা কেটেই যাক। হরিহর তখন বিষয়ের দখল পাবে। সেই সময় বিবাহ দিলেই হবে । তবে তোমাদের কাশী যাওয়ার একটু বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে। তা অমনিও হোতো । হরিহরের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে ত আমার অব্যাতি নেই।”
মানদা বলিলেন “দিদি, কাশী যাওয়া কি ? আমি ত বুঝতে
পারলাম না ।”
রমাসুন্দরী বলিলেন “আমাদের কাজ ত সুহারের বিয়ে হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যাবে। তখন আর আমরা দেশে থেকে কি করব ? সিধু সংসার-ধৰ্ম্ম করবে না ; আমিও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করব না। তুই আর আমি কাশীতে যাব ; সিধুও সেখানে আমাদেরই কাছে থাকবে । জমিদারী রইল, আর হরিহর-সুহার द्रशेद्वा ।*
মানদা বলিলেন “সে কি ভাল ব্যবস্থা হোলে ?” রমাসুন্দরী দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়৷ বলিলেন “ভাল-মন্দের কর্তা কি আমরা ! যিনি কৰ্ত্তা, তিনি যা করবেন, তা করতেই হবে। তার বিধান কি কেউ খণ্ডন করতে পারে ?”
মানদ। তবুও বলিলেন “এই বয়সে কি কেউ সংসার ত্যাগ
করে ?”
D ® R
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৬১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
