ষ্ট্যালিন
এই অর্থ নৈতিক সঙ্কটে সাম্রাজ্যবাদী ও ধনতান্ত্রিক দেশ এবং পরাধীন দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক স্ববিরোধিতা প্রবল হইয়া উঠিল, কলকারখানার মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে, জমিদার ও প্রজাদের মধ্যে অশান্তি অসন্তোষ নানা আকারে দেখা দিতে লাগিল।
কম্যুনিষ্ট পার্টির ষোড়শ কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় সমিতির পক্ষ হইতে ষ্ট্যালিন বলিলেন যে, এই অর্থ নৈতিক সঙ্কট হইতে পরিত্রাণ পাইবার জন্য বুর্জ্জোয়া শ্রেণী একদিকে ফাশিষ্ট ডিক্টেটরশিপ প্রতিষ্ঠা করিয়া শ্রমিক সংহতি দলন করিবে, অন্যদিকে অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল হিংস্র এবং সাম্রাজ্যবাদী ধনতান্ত্রিকেরা যুদ্ধ বাধাইয়া উপনিবেশ ও পরাধীন দেশগুলি অধিকার করিবার চেষ্টা করিবে অথবা দুর্ব্বল জাতিগুলির উপর প্রভাব বিস্তার করিয়া অর্থনৈতিক আধিপত্য স্থাপন করিবে। ষ্ট্যালিনের এই ভবিষ্যৎবাণী বর্ণে বর্ণে ফলিয়াছিল।
১৯৩২ সালে যখন ইউরোপের শক্তিগুলি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ঘরোয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটে অত্যন্ত বিব্রত ছিল, তখন জাপ সাম্রাজ্যবাদীরা সেই সুযোগ গ্রহণ করিয়া সামরিক শক্তিতে দুর্ব্বল চীনের উপর চাপ দিতে লাগিল এবং প্রভুত্ব বিস্তারে প্রয়াসী হইল। তথাকথিত ‘স্থানীয় ঘটনার ছল’ ধরিয়। জাপ সাম্রাজ্যবাদীরা ন্যায়-নীতি পদদলিত করিয়া দস্যুর মত চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করিয়াই মাঞ্চুরিয়ায় সৈন্য চালনা করিল। জাপ-বাহিনী মাঞ্চুরিয়া দখল করিয়া সমগ্র উত্তর চীন জয় এবং সোভিয়েট রাশিয়াকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হইল। জাপান স্বাধীনভাবে লুণ্ঠন-নীতি চালাইবার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাহিরে চলিয়া গেল।
এই ঘটনায় উচ্চকিত হইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ফ্রান্স পূর্ব্ব
১১৮