বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

ও পরাধীন দেশগুলিতে স্বাধীনতার আন্দোলন জাগ্রত করিতে হইবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই অভিনব দায়িত্ব পালন প্রাচীন-পন্থী এবং শান্তিপূর্ণ পারিপার্শ্বিকের মধ্যে পার্লামেণ্টারী কার্য্যে অভ্যস্ত সোশ্যাল ডেমোক্রাট দলের দ্বারা সম্ভবপর মনে করা আর অনিবার্য্য পরাজয় বরণ করা একই কথা। পুরাতন দলের নেতৃত্বে চালিত হইয়া যদি শ্রমিকেরা সংঘর্ষ আরম্ভ করিত তাহা হইলে তাহাদের রক্ষার কোন উপায় থাকিত না এবং জনসাধারণ যে এইরূপ ব্যবস্থায় সম্মত হইতে পারে না তাহা বলাই বাহুল্য।

 “এই কারণেই প্রয়োজন হইল নূতন দলের যাহা সংগ্রামশীল ও বৈপ্লবিক, যাহা সাহসের সহিত কৃষক শ্রমিককে রাজনৈতিক অধিকার লাভের সংঘর্ষে পরিচালিত করিবার স্পর্দ্ধা রাখে, যে দলের বৈপ্লবিক পরিস্থিতির জটিল অবস্থাকে সবদিক হইতে দেখিয়া কাজ চালাইবার মত অভিজ্ঞতা আছে এবং যে দল বিপ্লবতরণীকে চোরা পাহাড়ের আঘাত বাঁচাইয়া নিদ্দিষ্ট বন্দরে লইয়া যাইতে সক্ষম—এইরূপ দল ব্যতীত সাম্রাজ্যবাদকে সিংহাসন ভ্রষ্ট করা এবং কৃষক শ্রমিকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করা বাতুলতা মাত্র। লেলিনবাদী দলই হইল নূতন দল।”

 ১৯২৯-৩০-এর জগদ্ব্যাপী অর্থ সঙ্কটের কথা আমরা পূর্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি। ১৯৩৩-এ আশঙ্কা যদিও একটু কাটিয়া গেল, শিল্প-বাণিজ্যের কিছু উন্নতি লক্ষ্য করা গেল কিন্তু তথাপি পৃথিবীর ধনতান্ত্রিক শিল্প বাণিজ্য—১৯২৯-এর সংখ্যায় পৌঁছিতে পারিল না। তবে ফাশিষ্ট যুদ্ধের দরুণ রণসম্ভার নির্ম্মাণের কারখানাগুলির কথঞ্চিৎ উন্নতি হওয়ায় ১৯৩৭ সালে ১৯২৯-এর তুলনায় উৎপাদন শতকরা ৯৫ ভাগে আসিয়া দাঁড়াইল। কিন্তু ১৯৩৭-এর মধ্যভাগে আবার এক দ্বিতীয় সঙ্কট দেখা দিল।

১৪৯