বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

ক্লান্ত করিবার সুবিধা দেওয়া হউক, এবং যখন তাহারা একেবারে দুর্ব্বল হইয়া পড়িবে, তখন সমস্ত নূতন শক্তি লইয়া, “শান্তির জন্য” রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হইয়া হতবল যুদ্ধরত রাষ্ট্রগুলিকে সর্ত্ত দিবার সুবিধা হইবে।

 অতি সহজ ও সুলভ পথ!

 * * * *

 “জার্ম্মানীর দৃষ্টান্ত দেখ। অস্ট্রিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ইহারা জার্ম্মানীকে অস্ট্রিয়া দখল করিতে দিল; চেকোশ্লোভাকিয়াকে পরিত্যাগ করিল, কোন আন্তর্জ্জাতিক কর্তব্যের মর্যাদা রাখিল না। ইহার পর তাহারা সংবাদপত্রে “রাশিয়ান সৈন্যের দুর্ব্বলতা” “রুশ বিমানবহরের অধঃপতন” লইয়া মিথ্যা কোলাহল তুলিয়াছে। সোভিয়েট ইউনিয়নে দাঙ্গা হাঙ্গামা চলিতেছে, এই শ্রেণীর প্রচারকার্য্যের উদ্দেশ্য জার্ম্মানীকে পূর্ব্বদিকে অগ্রসর হইবার উৎসাহ দান এবং সহজেই কার্য্য সিদ্ধি হইবার ভরসা দিয়া বলা হইতেছে, “বলশেভিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরম্ভ করিয়া দাও, সব ঠিক হইয়া যাইবে।” ইহাও আক্রমণকারীদের উৎসাহ দিবার মতই দেখাইতেছে।”

 এই ইতিহাস স্মরণীয় বক্তৃতায় ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির রাজনীতিক ও সংবাদপত্রগুলির ভণ্ডামী, কাপট্য ও সোভিয়েট বিদ্বেষের বিশ্লেষণ করিয়া সোভিয়েট ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি ষ্ট্যালিন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করিলেন, —তাহার মধ্যে উল্লেখযোগ্য,—

 (১) যে সকল জাতি আক্রান্ত হইয়া স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করিবে, আমরা তাহাদের সাহায্য করিব।

 (২) আমরা আক্রমণের আশঙ্কায় ভীত নহি। যুদ্ধে প্ররোচনা দিয়া

১৬২