বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা হইতে পারে এবং এই পথেই, বলপূর্ব্বক নহে, স্বতঃপ্রবৃত্ত ঐক্যের পথ প্রশস্ত হইবে এবং একটি অবিভাজ্য রাষ্ট্র গঠিত হইবে।”

 জনগণের প্রতিবাদ, সৈন্যদলের অসন্তোষ সত্ত্বেও কেরেনেস্কী গভর্ণমেণ্ট সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চালাইয়া যাইতে লাগিল। প্রথমদিকে ইহারা বলশেভিকদলের বিরোধিতা করেন নাই, কিন্তু বলশেভিকদলের ক্রমবর্দ্ধিত শক্তি ও প্রভাব দেখিয়া দমননীতি অবলম্বিত হইল। পেট্রোগ্রাডে শোভাযাত্রার উপর গুলি চলিল। '‘প্রাভদা' ও অন্যান্য পত্রিকা নিষিদ্ধ হইল। জেনারেল কর্ণিলফ‍্কে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করিয়া কেরেনেস্কী সৈনাদলে শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে লাগিলেন। রণক্ষেত্রে কঠোর দণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিবার ব্যবস্থা হইল। বিপ্লবী বলশেভিক পার্টির প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন সৈন্যদিগকে পেট্রোগ্রাড হইতে বদলী করার চেষ্টা চলিল। পার্টি প্রায় বে-আইনী ঘোষিত হইল। কিন্তু তৎসত্ত্বেও পার্টির সদস্য সংখ্যা তিনমাসে দ্বিগুণ হইল।

 আগষ্ট মাসে বলশেভিক পার্টির ষষ্ঠ কংগ্রেস আহূত হইল। গোপনে অধিবেশন হইল। লেনিন এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। কেরেনেস্কীর চরেরা তখন তাঁহার সন্ধান করিতেছিল। পার্টির পরামর্শে তিনি তখন ফিনল্যাণ্ডে আত্মগোপন করিয়াছিলেন। লেনিনের নির্দ্দেশানুযায়ী ষ্ট্যালিন কংগ্রেসের কার্য্য পরিচালনা করিলেন। এই কংগ্রেসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব প্রচুর, কেননা এই কংগ্রেসেই বলশেভিক পার্টি সশস্ত্র অভ্যুত্থানের বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হইতে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সমালোচনা প্রসঙ্গে ষ্ট্যালিন বলিলেন—“কেন্দ্রীয় কমিটির গত আড়াই মাসের কার্যপ্রণালী আলোচনার পূর্ব্বে

৫৫