বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চার

 সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে এক নূতন সমস্যার সম্মুখীন হইল। বিনা রক্তপাতে বিপ্লব সম্ভবপর হইলেও নূতন রাষ্ট্রকে রক্ষা করিবার জন্য রক্তপাতের প্রয়োজন হইল। রাশিয়ার কয়েকজন সেনাপতি পুরাতন রাষ্ট্র-ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের জন্য বিদ্রোহী সৈন্যদল লইয়া সোভিয়েট রাশিয়া আক্রমণ করেন। তাঁহাদের পশ্চাতে ফ্রান্স ও ইংলণ্ডের সাহায্য ছিল। রাশিয়া সকল দিক দিয়াই আক্রান্ত হইল।

 “বারংবার, বিশেষভাবে ১৯১৯-এর অক্টোবর মাসে দেখা গেল নূতন গণতন্ত্র ভাঙ্গিয়া পড়িবার উপক্রম হইয়াছে। কিন্তু কি হোয়াইট রাশিয়ান সৈন্যদল, কি পোলাণ্ডের যুদ্ধে যোগদান, কি কৃষক বিদ্রোহ, কি দুর্ভিক্ষ কিছুতেই লেনিনের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ জাতির দুর্দমনীয় শক্তিকে পরাহত করিতে পারিল না। চৌদ্দটী জাতির সম্মিলিত আক্রমণ সোভিয়েট রাশিয়া প্রতিহত করিল।” একথা লিখিয়াছেন প্রতিক্রিয়াশীল সাংবাদিক এবং ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থার ভক্ত মঃ ম্যালেট।

 এই দুর্দ্দিনে ষ্ট্যালিন কি ভাবে বারংবার বিপদজাল ছিন্ন করিয়াছেন আমরা সে ইতিহাস কিঞ্চিং অনুসন্ধান করিব। কালিনিন লিখিয়াছেন, “১৯১৮-২০ সালে কেন্দ্রীয় কমিটি একমাত্র ষ্ট্যালিনকেই বিভিন্ন রণক্ষেত্রে প্রেরণ করিয়াছেন। যেখানেই বিপ্লব সঙ্গীন অবস্থার সম্মুখীন হইয়াছে সেইখানেই ষ্ট্যালিন গিয়াছেন। গৃহযুদ্ধের সময় ষ্ট্যালিনের সামরিক তৎপরতা মহাকাব্যের মতই বিচিত্র। উহার বিশেষত্ব কেবল জয়লাভ করায় নহে। তিনি অতি উচ্চস্তরের রণকৌশল ও নৈপুণ্য দেখাইয়াছেন।

৬৬