পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR মংবাদ পত্রে মেকানেৰ কথা ( ७ ८भ sty२० । २e Eस*ों५ २२२१ ) ওলাউঠা –ওলাউঠা রোগ এতদ্দেশে কতক পরাক্রম সম্বরণ করিয়াছে যেহেতুক ধাহারদের২ ঐ দুজয় রোগ হইতেছে তাহারদের মধ্যে অনেকে রক্ষা পাইতেছে কিন্তু সমাচাপ পাওয়া গেল যে মোঃ যশোহর প্রদেশে তাহার পরাক্রম অতিশয়। সেখানে কোন২ গ্রাম ঐ রোগে উচ্ছিন্ন হইয়াছে তাহাতে মুসলমান লোক মরিলে লোকাভাবপ্রযুক্ত তাহারদের গোর হওয়া ভার এবং হিন্দুলোকের প্রায় সৎকার হয় না। একবার নামে একবার উঠে ইহাতেই নাড় বসিয়া গিয়া 관 1 ( ১ মে ১৮২৪ ৷ ২০ বৈশাখ ১২৩১ ) ওলাউঠ রোগ।—শুনা গেল যে নবদ্বীপে রোজ২ ওলাউঠ আপন সৈন্য সন্নিপাত সমভিব্যাহারে গমনানন্তর অবিরোধে রাজ্য শাসন করিয়া অতিশয় প্রবল হই স্থা বসিয়াছেন । এবং তাহার সহকারী হইয়া অনাবৃষ্টি ও গ্রীষ্ম মৃগে কালক্ষেপণ করিতেছে । ঐ রোগরাজের আজ্ঞানুসারে সন্নিপাত সৈন্ত মহোৎপাত করিয়ু বহু লোককে কাতর করিয়াছে এবং করিতেছে । এক দিবস ঐ রোগরাজ নবদ্বীপে বহু জনতা দেখিয়া কোপাবিষ্ট হস্তম্ব সন্নিপাতকে কহিলেন তুমি আমাৰ কৰ্ম্মে আলিষ্ঠ করিতে ছ হাতে সন্নিপাত আপন ক্ষমত প্রকাশ করি। এক দিবসেই ছত্রিশ জনের প্রাণ নষ্ট করিয়াছে এবং অদ্যাপিও ঐ রাগে প্রতিদিন দশ বারো জনকে নষ্ট করিতেছে তাঙ্গকে নিবারণ করে এমত কাহার ক্ষমতা হয় না । ইহা দেখিয়া হয়ে ভীত হক্টম্ব বিদেশী ষে সকল লোক নবদ্বীপে বাস করিতেছিল তাহার। পলায়নপর হইয়াছে ও প্রতিদিন ক্ৰন্দন ধ্বনিতে সুস্থ লোকেরো ভয় জন্মিতেছে এবং শোকাবিষ্ট লোকেরো শোকশাস্তি হইতেছে এরূপ যদ্যপি আর কিছু কাল নবদ্বীপে ঐ সৈন্য সমঙিব্যাহারে ওলাউ) প্রবল ইষ্টম বসতি করেন তবে ঐ নবদ্বীপ দ্বীপমাত্র হইবেক । ( ১৭ এপ্রিল ১৮২৪ ৬ বৈশাখ ১২৩১ ) মেদিনীপুর -৫ এপ্রিল তারিখের পঞ্চদ্বারা জানা গেল যে কএক মাপাবধি তৎপ্রদেশে কিছুমাত্র বৃষ্টি হয় নাই এবং উত্তরীষ্ম কিম্ব পশ্চিম বায়ুও প্রাধ বহে নাই তৎপ্রযুক্ত অতিশয় গ্রীষ্ম হইয়াছে এবং জরেতে অনেক লোক পীড়িত হইয়াছে । এব" ওলাউঠা রোগও ঐ প্রদেশে অতি প্রবল হইয়া ঐ জিলার দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক লোককে সংরি করিতেছে । আরো জানা গেল যে এক্ষেত্রের যাত্রিরদের ও মহামহাবারুণীযোগে গঙ্গাস্নান করিয়৷ বাহারা ফিরিমা যাইতেছিল তাহারদের এত লোক মার; পড়িয়াছে যে মড়ার গন্ধেতে পথে চলা অতিকঠিন হইয়াছে। যে লোকের পথ প্রস্তুত করিতেছিল তাহারদের মধ্যে অনেকে ঐ রোগে মারা পড়িয়াছে এবং প্রতিদিন তিন জন অবধি বার জনপধ্যস্ত মরিতেছে ।