পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ ১৭৯ (২৫ আগষ্ট ১৮২১ । ১১ ভাদ্র ১২২৮) চানক -মোকাম চানকে শ্ৰীশ্ৰীযুত কোম্পানী বাহাদূরের যে বাগান আছে ভাগতে নানা দেশীয় নানাবিধ পক্ষী ও জন্তু আছে তাহা দেখিলে আশ্চৰ্য্য বোধ না হয় এমত লোক মাষ্ট যেহেতুক সকল দেশে সকল নাই। ঐ বাগানে হরিণ আছে তাহার মধ্যে এতদেশীয় দুই তিন প্রকার আছে ও অন্তং দেশীয় নীলগা নামে এক প্রকার হরিণ আছে সে ঘোটকের মত উচ্চ ও অতিদুৰ্ব্বত্ত ও অতিশয় শৃঙ্গবিশিষ্ট । এবং শ্বেতবর্ণ এক প্রকার হরিণ আছে তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ। চট্টগ্রাম নিকটস্থ পৰ্ব্বতীয় চারি পাঁচ গরু আছে তাহারদিগকে দেখিলে গরু বোধ হয় না সে গরু অতু্যচ্চ ও ক্লকবর্ণ ও বৃহৎ শৃঙ্গ অদ্ভুতাকার দেখা যায়। এবং ইংল্পওঁীয় এক বলদ আছে তাহার শরীর অতিশয় মুখস্পর্শ। ব্যাঘ্ৰ চারি পাচ প্রকারের দশ বারটা আছে তাহার মধ্যে এক স্থানে এক কৃষ্ণবর্ণ ব্যাঘ্ৰ আছে । আর এক স্থানে এই দেশীয় বৃহৎ তিনটা ব্যাঘ্র থাকে । অন্য এক স্থানে এক ব্যান্ত্ৰ আছে তাহার গায় গোল২ চক্রাকৃতি চিহ্ন । এক স্থানে সিংহের স্ত্রী পুরুষ দুই আছে তাহার বয়স্ দেড় বৎসর সে পাণ্ডু বর্ণ নিৰ্ম্মল তাহার লাঙ্গুল গোলাঙ্গুলাকৃতি কিন্তু অতিশাস্ত যাহার। আহারাদি দেয় তাহারদের কথাগুসারে সে চলে। ছোট২ চারি পাঁচ ব্যাঘ্র আছে তাহার মধ্যে একটা ব্যাঘ্র সে খোলাস ও মন্তদের দ্বেষ করে মা ও সে মন্থয্যের মত খাটে শম্বন করে ও লোক নিযুক্ত আছে তাঙ্গকে বাতাস করে। এবং শুনা যায় যে ঐক্রত যখন সীকার দেখেন তখন ঐ ব্যাঘ্র সীকার করে । দুই তিনটা স্ত্যাগস আছে তাহারা থাটে শম্বন করে তাহারদের শরীরে বস্ত্র আচ্ছাদন করিয়া বাপে । কাঙ্গরু নামে নবহুলওঁীয় এক জন্তু সে দুই প্রকারে চারিটা আছে তাহার মধ্যে এক স্থানে ছোট জাতি একটা ও অন্তস্থানে বড় জাতি তিনটা আছে । তাহার সম্মুখের দুই প৷ অতিক্ষুদ্র ও দুৰ্ব্বল ও পশ্চাদের দুই পা বড় ও সবল সেই পায়ে লম্ফ দিয়া চলে সে পামে তিনটা নৰ্থ । সেই জন্তুর একটা বাচ্চা আছে লোকে কহে যে সে বাচ্চা গর্ভহইতে নিৰ্গত হয় ও ইচ্ছামত গৰ্ভে প্রবিষ্ট হয় সে কথা কিছু নয়। কিন্তু তাহার বক্ষঃস্থল অবধি তলপেট পৰ্যন্ত একটা থৈলীর মত আছে তাহার স্তনও সে খৈলিতে আবৃত ঐ বাচ্ছা সেই থৈলীর মধ্যে থাকিম্বা স্তন পান করে কখন? ইচ্ছ মত বাহির হইয়া থাকে । যে হউক সে অতিআশ্চৰ্য্য বটে এমত কোন জন্তুর নাই । আর দুই তিনটা জন্তু উটের মত আরুতি কিন্তু ছোট ও শরীর সমান । আর এক গাণ্ডারের বাচ্ছা আসিয়াছে তাহার খড়গ প্রকাশরুপে অদ্যাপি উঠে নাই কিন্তু নমুদ্র হইয়াছে সে অতিশান্ত অনায়াসে লোকেরা তাহার শরীরে হস্ত দেয় তাহার শরীরে লোম নাই ও অতিকঠিন শরীর । আর গর্দভের আকার এক বড় ঘোড় আছে সে পীতবর্ণ ও দেখিতে অতিদ্বন্দর। লোকে কহে যে ঐ ঘোড়া এক দিনের মধ্যে পঞ্চাশ ক্রোশ চলিতে পারে কিন্তু কেহ অদাপি ..তাহার উপরে সওয়ার হয় নাই । এবং তিন চারি দেশীয় চারি পাচ ভালুক ও দুই তিন প্রকার বানর ও দুই তিন প্রকার বিড়াল আছে। এবং কাশ্মীর দেশের দুইটা ছাগল আছে তাহার লোম অতি কোমল তাহাতে শাল জন্মে।” এবং এক বৃহৎ পক্ষী আছে তাহার গল অতিদীর্ঘ ও ঘোড়ার পায়ের মত