পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ মংবাদ গাত্রে মোকালের কথা যে পরলোকপ্রাপ্ত তাহারদের স্বামী রাজা তেজশ্চন্দ্র বাহাদুরের দান পত্রে এইরূপ লিপিত ছিল যে যুব রাণী বড় রাণীর অধীনে থাকিবেন। শ্ৰীযুত টকর সাহেব কহিলেন আমি নিশ্চয় বোধ করি যে গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখ ও আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখের মাজিস্ত্রেট সাহেবের যে হুকুম তাহ অবৈধ ও অনিয়মিত হওয়া প্রযুক্ত অন্যথা করিতে হইবে যেহেতুক উভয় রাণীর তুল্য ক্ষমতা অথচ ঐ আজ্ঞার দ্বারা রাণী বসন্তকুমারীকে বড় রাণীর অধীনে রাখা গিয়াছিল। আরো কহিলেন যে উভয় রাণীর অস্বধারি ব্যক্তিরদিগকে একত্র আসিতে অনুমতি দেওয়াতে মাজিস্কেট সাহেব অনুচিত কাৰ্য্য করিয়াছিলেন কারণ তাহাতে দাঙ্গা হইতে পারিত। অপর এইক্ষণে হুকুম করা যাইতেছে যে ঐ রাণী স্বেচ্ছা মতে সৰ্ব্বত্র গমনাগমন করিতে পারেন। শ্ৰীযুত টকর সাহেব আরো হুকুম করিলেন যে তথাকার সিবিল ও সেসন জজ সাহেব আপনার হুকুমের আপিল হইবে বলিয়া সেই হুকুম জারী করিতে অনুচিত করিমাছেন অতএব তাহার সেই হুকুম স্থগিত কংণের আজ্ঞা দেওয়া যাইতেছে । ( ৫ অক্টোবর ১৮৩৯ ৷ ২০ আশ্বিন ১২৪৬ ) बारी বসন্তকুমারী —গত শনিবারের দর্পণে আমরা লিখিয়াছিলাম যে রাণী বসন্তকুমারীর মোকদ্দমায় বৰ্দ্ধমানের শ্ৰীযুত মাজিগ্রেট সাহেব ধে দুই আজ্ঞা দিয়াছেন তাহ সদরদেওয়ানী আদালতের শ্ৰীযুত জঞ্জ সাহেব বেআইনী ও অষ্টায় নিশ্চয় করিয়াছেন। এইক্ষণে আমরা জ্ঞাত হইলাম যে ঐ হুকুম মাজিস্ত্রেট সাহেব করেন নাই কিন্তু ঐ জিলার জজ সাহেব করিয়াছিলেন অতএব সদরদেওয়ানী আদালতের জজ সাহেব যে দুই হুকুম রদ করিয়াছেন তাহা ঐ জজ সাহেবের । কলিকাতা রাজধানীস্থ এই সপ্তাহের এক সম্বাদ পত্রে লেগে যে তথাকার জজ সাহেব শসপেগু হইয়াছেন এবং তদ্বিষয় তজ বাজ করণার্থ এক কমিস্যন প্রেরিত হইয়াছেন কিন্তু তৎপরে ঐ সাহেবের শসপেগু হওনের লিগন ঐ সম্বাদ পত্রে অন্যথ" লেখেন কিন্তু সকলের এমত বোধ হইয়াছে যে গবর্ণমেণ্ট রাণী বসপ্তকুমারীর মোকদ্দমা অতিসূক্ষ্মরূপে তজবীজ করিতে নিশ্চয় করিয়াছেন । বোধ হইতেছে সে প্রাণ বাবু ও রাণী কমলকুমারীর প্রবোধেতে রাণী বসন্তকুমারীর বিষয়ে অতি বেআইনী ব্যাপার হইয়াছে। (২৩ ডিসেম্বর ১৮৩৭ ৷ ১০ পৌষ ১২৪৪ ) ইশতেহার।—সুবে বাঙ্গালার ফোট উলিয়মের কলিকাতা নগরের পাতরিয়া ঘাটার v প্রাপ্ত দেওয়ান দেবনারায়ণ ঘোষ যে উইল করিয়া যান ঐ উইলের প্রোবেট স্ববে বাঙ্গালার ক্ষেটি উলিয়মের সুপ্রিম কোট এক্লিজি আষ্টিকল এলাকার সম্পর্কে উক্ত উইলে লিখিত দুই টণি পাতরিয়া ঘটিছে খ্ৰীযুত আনন্দনারায়ণ ঘোষ ও ক্রসূত গিরীন্দ্রচন্দ্র ঘোষকে অদ্য প্রদান