পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদ পত্রে মেকালের কথা ياسوج صواصيN হেষ্টিংশ সাহেৰকতৃক এই সকল কৰ্ম্ম আরম্ভ হয় পরে শ্ৰীশ্ৰীযুত লাড আমহাষ্ট লাহেব তাহ চালান অনস্তর বর্তমান দেশাধিপতিকতৃক তাহার সমাপ্তি হইয়াছে। ( ১৬ মে ১৮৩২ । ৪ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৯ ) হরিদ্বারের বিবরণ –[ আমারদের নিজ পত্রপ্রেরকের স্থানে ইহা প্রাপ্ত। ] হরিদ্বার দিল্লীর উত্তর পূর্ব অনুমান চল্লিশ ক্রোশ এবং হিন্দুরদের তীর্থ স্থানের মধ্যে অতিপ্রসিদ্ধ তীর্থ। যে দেশে হিন্দুর ধৰ্ম্ম অতিপ্রবল অথবা যে দেশে হিন্দু শাস্ত্রের ধৎকিঞ্চিম্মাত্র মান্তত আছে এই উভয় প্রকার দেশইষ্টতেই প্রতিবৎসর সহস্র২ লোক ঐ তীর্থে আগমন করে। এবং আবাল বৃদ্ধবনিতা স্তন্যপায়ী ও মুমুধু সাধারণ সকলেই আসিয়া তথায় স্বান এবং মৃত পূৰ্ব্বপুরুধেরদের অস্থি ও ভস্মাদি গঙ্গাতে সমর্পণ করে। হরিদ্বারে যে কেবল গঙ্গাই তীর্থ এমত নহে কিন্তু গঙ্গার পশ্চিম তীরে অতিপবিত্র জ্ঞান করিয়া যে স্থানে ব্ৰহ্মা উপবিষ্ট হইয়া ধান পূজাদি করিয়াছিলেন । সেই স্থান ব্রহ্মকুণ্ড বলিয়া খ্যাত। অন্যান্য ঘাট অপেক্ষা সেই স্থানের যে কিছু বৈলগণ্য আছে বোধ হয় না কিন্তু সেই স্থান অতিপবিত্র। ঐ ব্রহ্মকুণ্ডে ও তৎসন্নিহিত স্থানে যে অস্থি ভস্মাদি যাত্রিকেরা সমৰ্পণার্থ পুটুলি করিষা আনয়ন করে তাহা ক্ষুদ্র এক টুকরা স্বর্ণ কিম্বা রৌপ্যের সঙ্গে একত্র কবিয়া সমর্পণপূর্বক তথা স্নানাদি করে।

  • ব্ৰহ্মা যে স্থানে পূজাদি করিয়াছিলেন কথিত আছে তৎস্থান ব্যতিরেকেও হরিদ্বারের পথের মধ্যে অন্যান্য অনেক তীর্ণ আছে বিশেষতঃ যে হরিদ্বারকে কৈলাসদ্বার অথচ মায়াপুরী কহে ঐ ইরিদ্ধারসমেত পঞ্চবিংশতি সংখ্যক তীর্থ আছে সে সকল স্থানেই যাত্রিকের গমন করিয়া থাকে ঐ সকল তীর্থ বার ক্রোশ বাপিয় পৰ্ব্বতোপরি কেন তীগ বা কোন তীর্থ উপত্যক ভূমিতে। ঐ তীর্থসকলের নাম তপোবন হৃষীকেশ কুক্তামার ত্রিবেণী বীরভদ্র ভীমকুও সূৰ্য্যকুণ্ড লক্ষণকুণ্ড সীতাকুগু ব্ৰহ্মকুণ্ড স্বৰ্গদ্বার গোঘাট কুশাবর্চ নীল পৰ্ব্বত চন্দ্রিক কনগল দক্ষেশ্বর গণেশঘাট নারায়ণশিলা গৌরীকুণ্ড তিলভাণ্ডেশ্বর রাঙ্গরাজেশ্বর শাথেশ্বর হরিকাচরণ নীলেশ্বর । এই সকল স্থানের মধ্যে চারি পুষ্করিণী ও চারি দেবালয় অবশিষ্টসকল্প হরিদ্বারের দিগে গঙ্গার পশ্চিম তটস্থ ঘাট । জালাপুরনামক অতিক্ষুদ্র ষে গ্রাম তাহাতে ব্রাহ্মণের বসতি আছে সেই স্থানঅবধিই হরিদ্বারের সীমারম্ভ তাহ প্রকৃত স্থানহইতে চারি ক্রোশ তথা হইতে প্রধান সড়কের উভয় পার্থে আম্র এবং অন্যান্য ফল ফুলের ছোট বড় নানা জাতীয় বৃক্ষ আছে এবং যে স্থানে এবম্বিধ বন নাই সেই স্থান গঙ্গার দক্ষিণ তীরে বৃহৎ২ মাঠসকল এবং তাছার বাম তীরে শস্যাদি ক্ষেত্ৰসকল পৰ্ব্বতের নিম্নভাগপৰ্য্যস্থ । সেই স্থানঅবধিকরিয়াই পৰ্ব্বত শ্রেণীর আরম্ভ। জালাপুরহষ্টতে দুই ক্রোশ অস্তরে অর্থাৎ ঐ স্থান ও হরিদ্বারের মধ্যবৰ্ত্তিস্থানে কনখল নগর আছে সে অতি বাণিজ্যের স্থান এবং তথায় রাজাসকল এবং গঙ্গাভক্ত ব্যক্তির প্রস্তর ও ইষ্টকনির্মিত অতিম্বন্দর বৃহৎ২ দুই তিন তালার আটালিকাসমূহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । পৰ্ব্বতীয় স্রোতঃ স্থানের শুষ্ক ভূমিতে অতিবাহুল্যরূপে চুণে পতির প্রাপ্ত হওয়ায় এবং তথাকার ভাটিতে অতিশুভ্র অথচ