ley a পর “সমাচার চন্দ্রিক যে মন্তব্য করে, তাহ ৪ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত করা হইয়াছে । এই মস্তব্যে অন্যান্য কথার মধ্যে ‘চন্দ্ৰিকা'তে লেখা হয়,— আমরা অনুমান করি ইঙ্গরেজী পাঠনারম্ভ অবধি রহিত কালপর্য্যন্ত প্রায় ৬০। ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হইয়া থাকিবেক এই বহুসংখ্যক ধন ব্যয় করিয়া কতক গুলিন ব্রাহ্মণের সস্তানকে - নষ্ট করিয়াছেন মাত্র যেহেতু তাহারা না কেরাণি হইল না অধ্যাপক হইয়া পড়াইতে পারিলেক অধিকন্তু যাহারদিগের পৈতৃক যে শিষ্য যজমান ছিল তাহারাও অশ্রদ্ধা করিলেন । ংস্কৃত কলেজের ছাত্রদিগের ফাসী অধ্যয়ন সম্বন্ধে একটি আলোচনা ৭ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাইবে । ৮ পৃষ্ঠায় যে-আবেদনটি উদ্ধৃত হইয়াছে, উহাও বিশেষ উল্লেখযোগ্য । উহাতে সংস্কৃত কলেজের কয়েক জন স্মৃতির ছাত্র আবেদন করিতেছেন যেন তাহাদিগকে জেলা আদালতে কৰ্ম্মশিক্ষাকারীর ন্যায় নিযুক্ত রাখা হয়, নতুবা স্মাৰ্বদিগের প্রতি দেশীয় লোকের । অনুরাগ না থাকাতে তাহদের আর জীবিকা অর্জনের আশা নাই । ১১-১২ পৃষ্ঠায় সংস্কৃত কলেজের কয়েকটি ছাত্রের পুরস্কারপ্রাপ্তির সংবাদ আছে । উহাতে ঈশ্বরচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য নামে যে ছাত্রটি ১৮০ টাকা পুরস্কার পাইয়াছেন বলিয়া উল্লেখ আছে, তিনিই আমাদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তারাশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য যিনি ১০ টাকা পুরস্কার পান, তিনি 'কাদম্বরী’, ‘রাসেলাস’ প্রভৃতি রচয়িতা তারাশঙ্কর তর্করত্ন । ংস্কৃত কলেজ সংক্রান্ত সংবাদের পর হিন্দুকলেজের কথা দেওয়া হইয়াছে । উহার প্রথম ংবাদটি হিন্দুকলেজের ছাত্রদের আবৃত্তি সম্বন্ধে । ১৮৩১ সনের ডিসেম্বর মাসে প্রসন্নকুমার ঠাকুরের উদ্যোগে বাংলা দেশে বাঙালী কর্তৃক প্রথম নাট্যশালা প্রতিষ্ঠিত হয় । উহাতে শেক্সপীয়রের নাটক অভিনীত হইত, আবার দেশীয় নাটকের ইংরেজী অনুবাদও অভিনীত হইত। এইরূপ নাট্যাভিনয়ের সূত্রপাত হয় বিদ্যালয়ের আবৃত্তিতে। হিন্দুকলেজকে এ-বিষয়ের পথপ্রদর্শক বলা যাইতে পারে । এই কলেজে শেক্সপীয়রের নাটকের অংশবিশেয আবৃত্তির সংবাদ ১৪ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাইবে । ১৯-২০ পৃষ্ঠাতে এইরূপ আর একটি আবৃত্তির বিবরণে মধুসূদন দত্ত নামে একটি ছাত্র অংশ-বিশেষ আবৃত্তি করে বলিয়া উল্লেখ আছে । ইনিই স্বনামধন্য মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মাইকেলের প্রচলিত জীবনচরিতে র্তাহার হিন্দুকলেজে প্রবেশের যে তারিখ দেওয়া হইয়াছে, অতঃপর তাহা সংশোধন করিবার প্রয়োজন হুইবে । ২৬-২৮ পৃষ্ঠায় হিন্দুকলেজ সংযুক্ত পাঠশালার শিলান্যাসের বিবরণ দেওয়া হইয়াছে। ১৮৩৯ সনের ১৪ই জুন এই ব্যাপার সম্পন্ন হয় । উহাতে দেশীয় ও বিদেশীয় বহু সন্ত্রাস্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন । বাংলা ভাষায় শিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশু্যেই এই পাঠশালা স্থাপিত হয় । ‘সমাচার দর্পণ’ এ-সংবাদে সন্তোষ প্রকাশ করিয়া বলেন,— এতদেশীয় লোকের যে এইক্ষণে আপনারদের ভাষানুশীলনার্থ অগ্রসর হইতেছেন এবং BBBB BBBB BBBSBBBBB B BBBBB BBBB BBBBB BBS BBB BBBBB বিষয় ।