পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ মংবাদ গক্ৰে লোকালের কথা পুস্তক উপস্থিত করা গেল শ্ৰীযুত রামজয় তর্কালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য কর্তৃক ঐ পুস্তকের মধ্যে শলাকাস্বারা এক স্থান উদ্ধৃত হইল সেই স্থানেই ব্যাখ্যা করিতে অকুমতি হইলে উক্ত স্বায়রত্ন ছাত্র পণ্ডিত মহাশয়দিগকে নতিপূর্বক সম্বোধন করিয়া অনুমতি গ্রহণপুরঃসর গ্রন্থ ব্যাখ্যারম্ভ করিলেন শ্ৰীযুত কালীকান্ত বিদ্যাবাগীশ ভট্টাচাৰ্য্য তাহার কএক স্থানেও কোটি করিলেন ন্যায়রত্ন তাহার সদুত্তর দ্বারা তাহাকে নিরস্ত করিয়াছিলেন এবং শ্ৰীযুত রামতনু তর্কসরস্বতীও অনেক জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন তাহাতে শ্ৰীযুত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য কহিলেন এইক্ষণে বিচার করা কৰ্ত্তব্য হয় না ইনি গ্রন্থ ব্যাখ্যা করুন তাহাতে কিপ্রকার অর্থ করেন তচ্ছ বণে ইহঁার পাণ্ডিত্য বোধ হইতে পরিবেক পরে সভাপতিপ্রভৃতি যাবদীয় পণ্ডিত তাহাতেই সম্মত হইয়া ব্যাখ্যা শ্রবণ করিয়া কহিলেন গ্রন্থের সদর্থ করিয়াছেন আর অধিক পরীক্ষার আবশ্বক নাই এইক্ষণে এক প্রশ্ন দেওয়া যাউক তাহার সপ্রমাণ 'ತಣ್ಣ এই বৈঠকে লিখিয়া দেউন ইহা স্থির হইলে শ্ৰীযুত রামজয় তর্কালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য দায় প্রকরণের এক প্রশ্ন লিখিয়া দিলেন তদবিকল এই । এই প্রশ্নোত্তর সমাজে পাঠ করা গেল তৎশ্রবণে সভাপতিপ্রভৃতি যাবদীয় পণ্ডিত সন্তুষ্টিপূর্বক কহিলেন ন্যায়রত্ন ভট্টাচাৰ্য্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন এক্ষণে ইনি অধ্যাপনা করাইবার উপযুক্ত পাত্র বটেন অতএব ইহাকে সমাজের নিয়মানুসারে পারিতোষিক এবং বিদ্যাবিদ্যোতন পত্র প্রদান করা কৰ্ত্তব্য তদ্বিষয়ের বিহিত সম্পাদক নিয়মানুসারে করিবেন ইত্যাদি স্থির হইলে ঐ দিবসীয় সভার বিবরণ শ্রবণে পরীক্ষা নিমিত্ত প্রশ্নোত্তর পত্রে সভাপতি স্বাক্ষরকরণ পূর্বক স্বস্থানে প্রস্থান করণোন্মুখসময়ে শ্ৰীযুত বাবু শ্ৰীনাথ সৰ্ব্বাধিকারী পণ্ডিত সমাজে নিবেদন করিলেন যে অদ্যকণর সভার কৰ্ম্ম দর্শন করিয়া আমি মহাসন্তুষ্ট হইয়াছি যেহেতু ধৰ্ম্মসভার এই এক প্রধান কৰ্ম্ম অদ্যারম্ভ হইল এ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় স্বর্গগত হইলে পর পণ্ডিতগণের পরীক্ষণ লইয়া কেহ সম্মান প্রদান করেন নাই অতএব নিয়মানুসারে পরীক্ষা হইলে দেশের শাস্ত্র রক্ষণ হইবেক । তৎপরে সম্পাদককতৃক কথিত হইল যদ্যপিও ধনবান ধাৰ্ম্মিকগণ ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদিগের প্রতিপালন জন্য নানা কৰ্ম্মোপলক্ষে বহু ধন দান করিয়া থাকেন এজন্যই অদ্যাবধি এতদ্দেশে সংস্কৃত শাস্ত্র জাজল্যমান আছে নচেৎ এককালে ম্রিয়মাণ হইত যেহেতু পণ্ডিতগণ প্রায়ই ধনহীন প্রতিগ্রহপূর্বক ছাত্রকেই অন্নদান পুরঃসর অধ্যাপন করাইতে হয় পরে ছাত্রেরা কৃতবিদ্য হইয়া চতুষ্পাঠীকরত অধ্যাপক হইয়া যথাকর্তব্য করেন কিন্তু ইদানীং কতক গুলিন লোকের সে ব্যবহার নাই অথচ অধ্যাপক রূপে খ্যাত হইয়াছেন ইহাতেই অনেকেরি কলঙ্ক হইয়াছে অর্থাৎ অনেকেই কহিয়া থাকেন অধ্যাপকদিগের অধ্যাপনা নাই কেবল নিমন্ত্রণ লইবেন এই অভিলাষ মাত্র পরীক্ষার এরীতিতে বিদ্বান ব্যক্তিদিগের সে কলঙ্ক মোচন হইবেক এবং ক্ষোভ দূর হইবেক । পরে শ্ৰীযুত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শ্ৰীযুত বিশ্বনাথ ভট্টজী ও ক্রযুত কালীকান্ত