পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sle শিক্ষা এবং দেবপূজার সম্পর্ক সম্বন্ধে ‘সমাচার চন্দ্রিকা’র একটি বিচার ২৪০ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে। ইহাতে কলিকাতার বহু ইংরেজী-শিক্ষিত সন্ত্রাস্ত লোকের দৃষ্টাস্ত দেখাইয়৷ সম্পাদক প্রমাণ করিতে চাহিয়াছেন, ইংরেজী শিখিলেই যে লোকে নাস্তিক হয় তাহণ নহে । শিক্ষার সহিত ঠিক সাক্ষাৎভাবে যুক্ত না হইলেও এই প্রসঙ্গেই আর একটি সংবাদের উল্লেখ করা প্রয়োজন । উহ। ২৩৯ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত মিশনরী কর্তৃক বালক-চুরির সংবাদ । খ্ৰীষ্টান মিশনারীরা যে সকল সময়ে ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়াই লোককে খ্ৰীষ্টান করিতেন তাহা নহে, অনেক সময়ে ছল বল কৌশলেরও প্রয়োগ করিতেন । এ-দেশীয় খ্ৰীষ্টানের এ-বিষয়ে তাহাদিগকে সাহায্য করিতেন । এই পৃষ্ঠায় পাদরি কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক একটি বালক অপহরণের সংবাদ দেওয়া হইয়াছে। পাদরি কৃষ্ণমোহনকে সে-যুগের লোকেরা অবজ্ঞাসূচক কেষ্ট বান্দা নামে অভিহিত করিত, তাহার উল্লেখ এখানে পাই , কৃষ্ণমোহন যে এ-দেশীয় ভদ্রসন্তানদিগকে যে-কোন প্রলোভনে খ্ৰীষ্টান করিতে পরমোৎসাহী ছিলেন, তাহার পরিচয় আমরা মাইকেল মধুসূদনের ক্ষেত্রেও পাই । শিক্ষা-সম্বন্ধীয় তথ্যগুলির পর এ-দেশের কৌলীন্য ও কৌলীন্য-প্রথার দৌরাত্ম্য সম্বন্ধে বহু সংবাদ পাওয়া যাইবে । কৌলীন্য ও এ-দেশীয় বিবাহ-প্রথার ফলে যে-যে নৈতিক অনাচার হইত, তাহার কিছু কিছু আভাস ২৪৭ ও ২৫৫-৫৬ পৃষ্ঠায় আছে। পরের সংবাদটি আমদিগকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বামুনের মেয়ে’র কথা স্মরণ করাইয়া দেয় । হিন্দুকলেজের ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত ‘জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রিকা প্রচলিত আচারের দ্বেষী ছিল । সুতরাং উহাতে প্রায়ই হিন্দু সমাজের নিন্দাস্থচক সংবাদ প্রকাশিত হইত। নানা দুষ্টান্ত দিবার পর ‘জ্ঞানান্বেষণে’র পত্রপ্রেরক লিখিতেছেন,— আমি সাহসপূর্বক বলিতে পারি ভারি২ পণ্ডিত ন্যায়রত্বের ও প্রধান২ বাড়য্যের ঘরে যে র্তাহারদিগের পুত্র পৌত্রাদির গৃহিণী সকল আছেন তাহারদিগের মধ্যে অনেকেই পোপ নাপিত BBBB BB BBB BBBB BBS BB BBBBB BBBB BB BBB BBB BSBB হইয়া গিয়াছেন এখন তাহারদিগের পাকান্ন সকলেই পবিত্র জ্ঞান করেন । ( পৃ. ২৫৬ ) এই পত্রপ্রেরকের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে একটি বিশেষ কৌতুহলজনক। কয়েক জন কন্যাবিক্রেতা এক বিপত্নীক ব্রাহ্মণের সহিত এক সুন্দরী মুসলমান-কন্যার বিবাহ দিয়া চারি শত টাকা আদায় করে । ব্রাহ্মণ এই কন্যার সহিত এক বৎসর কাল ঘর করার পর— এক দিবস লাউ পাক করিতে ঐ স্ত্রী অভ্যাসপ্রযুক্ত হঠাৎ কহিয়া উঠিল যে “কছু ছে কেয়া ছালান হোগা|” এই কথা শুনিয়া ব্রাহ্মণের ভগিনী তাহার মাতাকে ডাকিয়া কহিল “ওমা শুন আসিয়া তোর বোঁ কি বলিতেছে" তাহার পরে জিজ্ঞাসা করিবাতে জবন কন্যা আপন জাতিকুলের সকল কথাই ভাঙ্গিয় বলিয়া ফেলিল তাহাতে ব্ৰাহ্মণ চমৎকার ভাবিয়া স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিলেন । ( পু, ২৫৫ ) কুলীন-সমাজের প্রসঙ্গে স্ত্রীলোকগণের শিক্ষা, চরিত্র ও অবস্থার উন্নতির কথা উঠা স্বাভাবিক। ২৪৮-৪৯, ২৫৭ ও ২৬২ পৃষ্ঠায় এইরূপ অনেক কথা আছে। ইহার মধ্যে