পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به راه اند হন । ইহা হইতেই বুলবুলি পার্থীর লড়াই সেকালের সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিদিগের কিরূপ প্রিয় ছিল তাহার ধারণা করা যায় । সমাজ-বিভাগের তৃতীয় অংশে নানারূপ জনহিতকর অনুষ্ঠানের সংবাদ দেওয়া হইয়াছে। এই সকল সংবাদ হইতে সে-যুগে আমাদের দেশে ধনী ব্যক্তির নানারূপ জনহিতকর কাৰ্য্যে কিরূপ উৎসাহী ছিলেন তাহা বুঝিতে পারা যায়। কি স্কুল-কলেজ-প্রতিষ্ঠায়, কি রাস্তাঘাট-নিৰ্ম্মাণে, কি তুর্ভিক্ষ ও দৈবদুৰ্বিবপাকে, কি চিকিৎসালয়-স্থাপনে,—সকল বিষয়েই বাঙালী ধনীদিগের দান দেখিতে পাওয়া যাইবে । তাহার কয়েকটি এই,—টা কীর কালীনাথ রায় কর্তৃক লক্ষ মুদ্র ব্যয়ে টাকী হইতে বারাসত পৰ্য্যন্ত ১৮ ক্রোশ রাস্তা-নিৰ্ম্মাণ, কলিকাতার ডিস্ট্রিক্ট চ্যারিটেবল সোসাইটিতে দান, উড়িষ্যায় ঝড়ের জন্য দুঃস্থ লোকদের সাহায্য-দান, মতিলাল শীল কর্তৃক লক্ষ মুদ্রা ব্যয়ে প্রস্থতি হাসপাতাল স্থাপন, হাজী মহম্মদ মহসীনের দান । এই শেষোক্ত দানবীরের দানের বিস্তৃত বিবরণ ২৯৬ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাইবে । এই অংশের শেষ দিকে ‘সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয়’ পত্রের যে মন্তব্যটি উদ্ধৃত হইয়াছে, উহাতে সম্পাদক প্রস্তাব করিতেছেন,— ...আমারদিগের, প্রার্থনীয় যে কুকৰ্ম্মে ধন ব্যয়কারিরদিগকে অতিউচ্চপদ প্রদান আর BB BBBS BB BB BBBB BBB BB BBBBB BB BB BBBBB BBBBBB রাজ বা অন্যান্য সন্ত্রমজনক উপাধি প্রদান করেন তবে অল্পদিবসেই দেখা যাইবেক যে এদেশের লোকের বড়নামাকাঙ্ক্ষী তাহারা ঐ বিষয়ে সাহায্য করণে হঠাৎ উদ্যত হইবেন এবং অনেকানেক জমীদারের এই মানসে প্রবর্ত হইলে প্রদেশে লোকের অবিদ্যার বন্ধন ঘুচিবেক । ( পৃ. ৩২৫ ) ইহার পরই বাংলা দেশের আর্থিক অবস্থা সম্বন্ধে কতকগুলি সংবাদ সঙ্কলিত হইয়াছে । এগুলি বাংলা দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাস লিখিবার অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান । এই সকল সংবাদের মধ্যে কয়েকটির প্রতি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাইতে পারে। ৩২৬ পৃষ্ঠায় এক জন পত্রপ্রেরক এ-দেশে যন্ত্র-প্রবর্তনের ফলাফল বিচার করিতেছেন । ৩৩৫ পৃষ্ঠায় ভারতবর্ষে আগত প্রথম বাপীয় জাহাজ দায়ানা’র সংবাদ আছে। ৩৩৬-৩৭ পৃষ্ঠায় ঢাকার বস্ত্র-ব্যবসায়ের পরিচয় দেওয়া হইয়াছে । ৩৪০ পৃষ্ঠায় দ্বারকানাথ ঠাকুর পরিচালিত বিখ্যাত কার টেগোর কোম্পানীর এবং ৩৪৩-৪৫ পৃষ্ঠায় নিউ বেঙ্গল ষ্টিম ফণ্ডের সংবাদ আছে । ৩৫৭ পৃষ্ঠায় যে-সংবাদটি দেওয়া হইয়াছে তাহ হইতে আমরা জানিতে পারি, সে-যুগে প্রকাশুভাবে বাজারে ক্রীতদাস বিক্রয় হইত। ৩৩১-৩২ পৃষ্ঠায় বাঙালীকে কেরাণীগিরি ছাড়িয়া ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হওয়ার উপদেশও উল্লেখযোগ্য ৷ ৩২৮ পৃষ্ঠায় বিবাহ-শ্রাদ্ধাদিতে অতিরিক্ত ব্যয়ের অনিষ্টকারিতা আলোচিত হইয়াছে । সমাজ-বিভাগের ৩৫৯-৯৬ পৃষ্ঠা শাসন-বিষয়ক । এই অংশে এ-দেশে ইংরেজ-শাসনের পদ্ধতি ও এ-দেশের লোকের সহিত রাষ্ট্ৰতন্ত্রের সম্পর্ক সম্বন্ধে কতকগুলি অতিশয় প্রয়োজনীয়