পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Фtro সংবাদ পত্রে মোকাল্ডেনৰ কথা । জন জবনকে কারাগারে বদ্ধ করিয়াছেন এবং এবিষয়ের বিলক্ষণ অনুসন্ধান করিতেছেন । হে সম্পাদক মহাশয় দুষ্ট জবনেরা মফঃসলে এসকল অত্যাচার ও দৌরাত্ম্যে ক্ষণস্ত না হইয়া বরং বিচার গৃহে আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইল। শ্রত হওয়া গেল ফরিদপুরের মাজিস্ত্রেট সাহেবের হজুরে যে সকল আমলা ও মোক্তারকারের নিযুক্ত আছে তাহারা সকলেই সরিতুল্লা জবনের মতাবলম্বি তাহারদিগের রীতি এই যদি কাহার নামে মিথ্যা অভিযোগ করিতে হয় তবে কেহ ফরিয়াদী কেহ বা সাক্ষী হইয়া মোকদম উপস্থিত করে সুতরাং ১২৮০০ হাজার লোক দলবদ্ধ ইহাতে ফরিয়াদী সাক্ষির ক্রটি কি আছে। শুনিয়া পরমাপ্যায়িত হইলাম ফরিদপুরের বর্তমান মাজিস্ত্রেট ধৰ্ম্মাবতার শ্ৰীযুত রাবট গ্রট সাহেব এমতপ্রকার কএক মোকদ্দমা অগ্রাহ করিয়া জবনেরদিগকে শাস্তি দিয়াছেন কিন্তু জবন দল ভঙ্গের কিছু উপায় উদ্যোগ করিয়াছেন কি না শ্রত হই নাই...। আমি বোধ করি সরিতুল্লা যবন যে প্রকার দলবদ্ধ হইয়া উত্তর২ প্রবল হইতেছে অল্প দিনের মধ্যে হিন্দু ধৰ্ম্ম লোপ হইয়া অকালে প্রলয় হইবেক । সরিতুল্লার জোটপাটের শত অংশের এক অংশ তীতুমির করিয়া ছিল না। অতএব আমরা শ্ৰীলশ্ৰীযুতের নিকট এই প্রার্থনা করিতেছি তিনি হিন্দুধৰ্ম্ম ও দেশরক্ষার নিমিত্ত উক্ত ব্যক্তির দল ভঙ্গের বিহিত আজ্ঞা করুন । ইতি সন ১২৪৩ সাল তারিখ ২৪ চৈত্র । - জিলা ঢাকা নিবাসি দুঃখি তাপিগণ । (২৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৪° । ১৮ ফাল্গুন ১২৪৬ ) শ্ৰীযুত পেটন সাহেবের স্ত্রী বেশ ধারণ –বেহালা নিবাসি মান্ত বংশু সাবর্ণ মহাশয়েরদিগের যুব সস্তানের বারোএয়ারি পূজার নিমিত্ত অনেক লোকের উপর অত্যাচার করিতে ছিলেন র্তাহারদিগের দৌরাত্ম্যে বেহালার নিকট দিয়া ডুলি পান্ধীতে গমনাগমন অসাধ্য হইয়াছিল বিশেষতঃ স্ত্রী লোকের ডুলি পান্ধী দৃষ্টিমাত্রই বারোএয়ারি দল একত্র হইয়া তৎক্ষণাৎ আটক করিতেন এবং তাহারদিগের ইচ্ছামত প্রণামী না পাইলে কদাপি ছাড়িয়া দিতেন না । স্ত্রীলোকের সাক্ষাতে অবাচ্য উচ্চ বাচ্য যাহা মুখে আসিত তাহাই কহিতেন তাহাতে লজ্জাশীল কুলবালা সকল পয়সা টাকা সঙ্গে না থাকিলে বস্ত্রীলঙ্কারাদি পৰ্য্যস্ত প্রদান করিয়া মুক্ত হইতেন ইত্যাদি প্রকার অত্যাচার করিয়া বেহালা নিবাসি যুব লোকেরা অতিশয় সাহসিক হইয়াছিলেন। পরে অত্যন্ত অন্যায় দেখিয়া পত্র প্রেরকেরা সমাচার পত্রে উক্ত বিষয়ের আন্দোলন করেন এবং চব্বিশ পরগনার মাজিস্ত্রেট জীযুত পেটন সাহেবের প্রতি বিস্তর আক্ষেপ করিয়াছিলেন অনন্তর ঐ সাহেব উক্ত বিষয় পরীক্ষা করণার্থ স্বয়ং স্ত্রী বেশ ধারণ করিয়া ডুলি আরোহণপূর্বক বেহালায় চলিলেন এবং ডুলিবাহক বেহারারদিগকে সাবধান করিয়া দিলেন তাহারা বলে ঐ ভুলিতে কোন স্ত্রী লোক যাইতেছেন পরে বেহালা গ্রামের বারোএয়ারি তলার নিকটস্থ হইবা মাত্র বারোএয়ারি পাণ্ডারা পূৰ্ব্বাবধি যে রূপ করিয়া