পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ 8}} শ্ৰীযুত ডাক্তর মারটিন সাহেবের মাসিক হিসাব দৃষ্টে জানা গেল যে সৰ্ব্বদা অধিক লোক পীড়িত হওয়াতে চাদনি চকের চিকিৎসালয়ের ব্যয়ানন্তর অতিঅল্প টাকা অবশিষ্ট থাকে তাহাও সংক্ষেপকালে ঐ চিকিৎসালয়ের ব্যয় নিমিত্তে আবশ্যক হইবেক । অতএব চিকিৎসালয়ের অধ্যক্ষ মহাশয়ের উপরি উক্ত তৃতীয় চিকিৎসালয় স্থাপন করিতে ঐ অল্প ধনে হস্তক্ষেপণ করা উচিত জানিলেন না ইতি । ( ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭ । ১ ফাল্গুন ১২৪৩ ) ইঙ্গরেজী টকা —শ্ৰীযুত ডাক্তর ষ্টয়ার্ট সাহেব কহিয়াছেন যে কলিকাতা ব্যাপিয়া ইঙ্গরেজী টিকা ব্যবহারের বাহুল্যকরণার্থ শহরের প্রত্যেক সীমাতে এক২ নির্দিষ্ট স্থান প্রস্তুতকরণের প্রস্তাব করিবেন এবং তিনি প্রত্যেক স্থানে ও স্বীয় বাটীতে স্বয়ং গমনপূৰ্ব্বক সপ্তাহের মধ্যে জুই২ দিন ঐ ব্যাপারের তত্ত্বাবধারণ করিবেন। ( ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৮ । ১৪ ফাল্গুন ১২৪৪ ) বসন্তরোগ –কলিকাতায় বসন্তরোগের অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়াছে এই জনরব শুনিয়া টাকা দেওনের স্বপরিন্টেণ্ডেণ্ট শ্ৰীযুত ডাক্তর ষ্টয়ার্ট সাহেব কোনই সস্বাদপত্র সম্পাদকের নিকটে যে পত্র লিথিয়াছেন তাহার চুম্বক আমরা প্রকাশ করিলাম। এবং তদৃষ্টে আহলাদিত হইলাম যে গত ১২ মাসের মধ্যে এতদেশীয় ৩১৯০ জনকে টীকা দেওয়া গিয়াছে এই সংখ্যা পূৰ্ব্ববৎসরাপেক্ষ তিন ভাগের এক ভাগ অধিক। ডাক্তর ষ্টয়ার্ট সাহেব লেখেন অদ্য পূৰ্ব্বাহ্নে আপনকার সম্বাদপত্রে পাঠ করিলাম যে কলিকাতায় বসস্তরোগের অতি প্রাদুর্ভাব হইয়াছে অতএব বক্তব্য যে এই বিষয়ে আমি বিলক্ষণ অনুসন্ধান করাতে শ্ৰীযুত কাপ্তান বর্চ সাহেবের দ্বারা জ্ঞাত হইলাম যে অন্যান্য বৎসরে এই রোগ যত হয় এই বৎসরে তাহার অধিক নহে । এক দিনের রিপোর্টে লেখে ঐ রোগী ১৭৮ ব্যক্তি ছিল তাহার মধ্যে এক জনও মারা যায় নাই এবং বড় বাজারে কিম্বা কোন প্রধান থানার এলাকায় ঐ রোগ দৃষ্ট হয় নাই কেবল শহরতলিতে দেখা যায় এবং যদ্যপি আমরা অনেক ব্যয় ও আয়াসের দ্বারা টীকা দেওনব্যবহার দেশীয় টীকা দেওনব্যবহারাপেক্ষ স্বাস্থ্যজনক করিতে উদ্যোগ করি তথাপি বোধ হয় যে দেশীয় বহুতর টীকাদায়কেরা বসস্তরোগ নগরের মধ্যে প্রবেশ করায় । • ( ২১ মার্চ ১৮৪০ । ন চৈত্র ১২৪৬ ) * ওলাউঠা –প্রায় দুই মাসাবধি কলিকাতা ও তন্নিকটবর্তি প্রদেশে ওলাউঠা রোগেতে অনেকের মৃত্যু হইয়াছে। রাজধানীস্থ এতদেশীয় লোকেরদের মধ্যে ঐ রোগোপলক্ষে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা পোলীসের রিপোর্ট হইতে নিম্নভাগে প্রকাশ করা যাইতেছে।