পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जमोउक्न (te :) না করিয়া তিনি বর্তমানেই তাহার স্থানে ঐ দাওয়া করিতেন । আমার ৮ পিতাঠাকুরের উত্তরাধিকারিত্বরূপে আমি কিছু সম্পত্তি পাই নাই বরং আমার আচার ব্যবহার ও ধৰ্ম্মবিষয়ক বিবেচনাপ্রযুক্ত আমি স্বীয় বংগুহইতে নির্লিপ্ত হই এবং আমার পিতাঠাকুর থাকিতেও তাহার সঙ্গে ও স্বীয় পরিজনের সঙ্গে আমি পৃথক অতএব আমাকে উত্তরাধিকারী বলিয়া ফরিয়াদী আমার নামে উক্ত বিষয়ে কোন নালিশ করিতে পারেন না । ফরিয়াদী কিস্তিবন্দির থতের বিষয় কহিয়াছেন বাঙ্গালা ১২০৪ সালে তাহা দেওনের করার ছিল ঐ তারিখের পর সাত বৎসরপর্য্যস্ত আমার পিতা বর্তমান থাকেন তাহার পরলোক ১২১০ সালে হয় কিনিমিত্ত এপর্য্যস্ত র্তাহার স্থানে দাওয়া করেন নাই অতএব এই দাওয়া কখন প্রকৃত নহে যদ্যপি যথার্থের ন্যায় স্বীকার করা যায় তথাপি দেনাদারব্যক্তি জীবৎ থাকিতে কিনিমিত্ত সাত বৎসরপর্য্যন্ত ঐ টাকার দাওয়া করেন নাই ইহার কারণ অবশু ফরিয়ার্দীর দর্শাইতে হইবে । এইক্ষণে ছাব্বিশ বৎসর পরে তিনি আমারদের নামে এতদ্বিষয়ে নালিশ করেন ইহা ১৭৯৩ সালের ৩ আইনের ৪ ধারার বিধির বিপরীত । এই সুস্পষ্ট ক্রটির বিষয়ে ফরিয়াদী যে ওজোর করিয়াছেন তাহা কোনপ্রকারে গ্রাহ হইতে পারে না। র্তাহার প্রথম ওজোর এই কেবল মৈত্রতাপ্রযুক্ত এত কালপর্য্যন্ত তদ্বিষয়ে ক্ষাস্ত ছিলেন । দ্বিতীয় ওজোর এই ষে আসামীর ভ্রাতা জগমোহন রায় তাহার নিকটে উমেদোয়ার ছিলেন তৃতীয়তঃ আসামী স্বয়ংকে (জলার মধ্যে দেখা পাওয়া যায় নাই । যে মৈত্রতাপ্রযুক্ত ফরিয়াদী কহিতেছেন যে তিনি আপনার দাওয়ার টাকা চাহেন নাই তদ্বিযয়ে উত্তর দেওনের আবখ্যকই নাই । দ্বিতীয় ওজোরের বিষয়ে একমাত্র উত্তর দেওয়া আবশ্বক যে জগমোহন রায় বাঙ্গাল ১২১৮ সালে লোকাস্তরগত হন তাহাও তের বৎসর হইল যদ্যপিও তিনি ফরিয়াদীর নিকটে উমেদোয়ার থাকিতেন তথাপি তাহাতে এই ন্যায্য দাওয়াকরণের কিছু আপত্তি ছিল না । পরিশেষে কহেন যে আসামী অর্থাৎ আমার অবস্থিতিস্থানের কিছু ঠিকানা পান নাই ইহার বিচারকরণেরও কিছু অপেক্ষা করে না যেহেতুক আসামী কখন কোম্পানি বাহাদুরের এলাকার বাহিরে ছিলেন না তিনি অনেককাল রামগড় ও ভাগলপুর ও রঙ্গপুরে বাস করিয়াছিলেন এবং গত নয় বৎসরাবধি কলিকাতা মহানগরে বাস করিতেছেন হুগলিতেও র্তাহার বাট আছে এবং বৰ্দ্ধমানের কালেক্টরী এলাকার মধ্যেও র্তাহার অনেক বিষয় আছে অধিকন্তু ফরিয়াদীর নিজ জমীদারীর মধ্যেই তাহার ভারি জমার অনেক পত্তনিতালুক আছে এবং কলিকাতার মধ্যেও আছে তাহার এই সকল বিষয় সম্পত্তি স্বজ্ঞাত হইয়াও ফরিয়াদী একবারো কখন উক্ত দাওয়াবিষয়ক প্রস্তাবও করেন নাই। এমত অন্যায় দাওয়াকরাতে কেবল আসামীর ক্লেশ দুঃখ দেওয়াব্যতিরেকে আর কিছুমাত্র অভিপ্রায় দৃষ্ট হইতেছে না। এই অনুভব আরো ইহাতে স্পষ্ট বোধ হইতেছে যে আসামীর ভাগিনেয় গুরুদাস মুখোপাধ্যায় ফরিয়াদীর পুত্র মহারাজ প্রতাপচন্দ্রের বাটার দেওয়ান ছিলেন এবং যুব মহারাজের পরলোকগমনোত্তর রাণীরদের স্বত্ব স্থিররাখনার্থ আদালতে তিনি ঐ রাণীরদের উকীল হইয় ফরিয়াদীর