(లు মংবাদ গলে কোঙ্কালের কথা গেলে আমার অসন্ত্রম হয় অতএব রোগির আত্মীয় কোন ব্যক্তিকে গোপনে ডাকিয়া কহেন যে ইহঁার আর বড় অপেক্ষ নাই এইক্ষণে ফিরাইয়া লইয়া যাওয়া অনুচিত। অতএব ঐ রোগির চীৎকারে কেহই মনোযোগ করে না এবং তাহার গলায় অনবরত জল ঢালিতে থাকে ইত্যাদি ব্যাপার করিতে ২ যখন জোয়ার আসিয়া রোগির কোমরপর্য্যন্ত জল উঠে তখন ডেঙ্গায় কিঞ্চিৎ২ টানিয়া লইতে থাকে এইরূপে টানাটানি করাতে কখন২ তাহার শরীরের কোন২ স্থানে আঘাত হয় তথাপি তাহার প্রাণত্যাগ হয় না এইরূপ নির্দয়তার ব্যাপার করিলেও স্বাভাবিক বলক্রমে তখনপর্য্যন্তও প্রাণ থাকে এবং যদ্যপি ইহাতে রোগির মনোমধ্যে অত্যন্ত দুঃখ হয় তথাপি শারীরিক যাতনা বিষয়ে চৈতন্য থাকে এইপ্রযুক্ত বারম্বার বিনীতি করে যে আমাকে এই স্থানহইতে লইয়া যাও তাহাতে কখন২ তাদৃশ যাতনা না দিয়া কিঞ্চিংকাল মৃত্তিকার উপরেই আমনি ফেলিয়া রাখে কিন্তু অতিদুৰ্ব্বল শরীরে ইত্যাদি যাতনা দেওয়াতে স্বতরাং তাহার মৃত্যু অতিশীঘ্রই উপস্থিত হয় তখন পুনৰ্ব্বার লইয়া গিয়া জলে ফেলে পরে পরিচারকের বিলম্ব সহিতে না পারিয়া তাহার অতিশীঘ্ৰ মৃত্যুর চেষ্টা পায় অর্থাৎ অনবরত জল গিলিয়া দিতে থাকে পরিশেষে অধিক জল গিলিতে না পারাতেই মরিয়া যায় । এইক্ষণে এই বিষয়ে কেহ২ এই আপত্তি করিতে পারেন যে কোন২ রোগী গঙ্গাতীরে নীত হইবামাত্রই মরে এবং জীবনের প্রত্যাশ থাকিলে.কখন সাবধান ব্যক্তিরা গঙ্গাতীরে লইয়া যান না । দিন২ সহস্র২ রোগী গঙ্গাতীরে নীত হইতেছে সুতরাং সকলের একপ্রকার ভাব নহে কিন্তু আমারদের উপরিউক্তপ্রকার প্রায়ই সত্য ইহা কেহই অপহ্নব করিতে পারিবেন না এবং গঙ্গাতীরে লওনের পর এমত যাতনা পাইয় অনেক ব্যক্তি স্বস্থ হইয়া ফিরে আইসে যদি এই বিষয় সত্য হয় তবে আমারদের উপরিউক্ত কথা সপ্রমাণ হইতে পারে । এই ব্যাপারে শাস্ত্রে যেরূপ প্রমাণ আছে তদ্বিষয়ে রিফাৰ্ম্মরে এইরূপ লেখেন যে যে শাস্ত্রে অন্তর্জলকরণের বিধি আছে সেই শাস্ত্রে লেখে কলিযুগের পরিমাণ ৪০ • ০৩২ বৎসর তন্মধ্যে ৪• •৯ বৎসর অতীত হইয়াছে এবং পৃথিবীতে ১০০ ০০ বৎসর বিষ্ণুর নাম থাকিবে ৫০ • • BBBB BBB BBBBBD BBB S BB BB BBB BBB BB BBB BBBB BBS থাকিবে না এইক্ষণে তন্মধ্যে ৪০ ৪০ বৎসর গত হইয়াছে অতএব প্রায় সকলই এমত বোধ করেন যে আর ৬০ বৎসর পরেই তদ্রুপ হইবে অতএব আমরা তৎসময় দেখিতে পাইব না সন্তানের দেখিবে । এইক্ষণে হিন্দুরদিগকে আমরা জিজ্ঞাসা করি যে তাহ হইলে কিরূপে র্তাহারদের স্বর্গ প্রাপ্তি হইবে । এবং সচ্ছলতাব্যতিরেকে স্বৰ্গারোহণের আর কোন সোজা পথ পাইবেন তাহারদের অযুক্তধৰ্ম্ম বজায়রাখণের নিমিত্ত প্রবঞ্চনার দ্বারা আর কোন প্রকার পাগলামির পথ ঠাহরাইবেন কি তাহার এই অতিনির্দয় ও ঘৃণ্য অন্তর্জলের ব্যাপার একেবারে ছাড়িবেন । ভরসা করি যে লোকের বিদ্যাভ্যাসের দ্বারা এমত জ্ঞানোদয় হইবে যে গঙ্গামাহীত্ম্যের বিষয় যাহা লিখিত হইয়াছে তাহ ঐ ৬০ বৎসর অতীত না হইতেই অবশ্য
