Փ8կ- মংবাদ পত্রে মোকালের কথা কৌন্সেলের দ্বারা সওয়াল জওয়াব করিতে যদি নিতান্ত বাসনা থাকে তবে রাজমন্ত্রির সভ্যেরদের তাহারদের প্রার্থনোক্তি নিদানে শুনিতে হইবে । অপর কহিলেন যে এই দরখাস্ত এতদ্দেশে পছছনের পর ভারতবর্ষের অতিবিজ্ঞ মান্য বিচক্ষণ ব্রাহ্মণ অর্থাৎ বাবু রামমোহন রায় এইক্ষণে এতদ্দেশে আছেন তাহার সঙ্গে আমার এতদ্বিষয়ক কথোপকথন অনেক হইয়াছে ঐ মহাতুভব মহাশয় আমাকে কহিয়াছেন যে সতীপক্ষীয় আরজী রাজমন্ত্রির সভায় দরপেশ না হইয়া কুলীনেরদের সভায় হইবে এমত অকুমান ছিল অতএব তদনুমানে অনেক বিজ্ঞ পারদর্শি ব্রাহ্মণেরা কুলীনেরদের সভায় এক দরখাস্ত প্রেরণ করিতে নিশ্চয় করিয়াছেন দরখাস্তে লেখেন যে গবর্নর জেনরলের সতীনিবারণ আইনেতে আমরা অত্যন্ত সস্তুষ্ট । উক্ত ব্যবহারের মূলবিষয়ক অত্যন্তানুসন্ধানপূর্বক বিবেচনাকরাতে আমারদের এই বোধ হইয়াছে ষে তাহ হিন্দু ধৰ্ম্মমূলক নহে কিন্তু রাজারদের ঈর্ষামূলকমাত্র তাহারা কেবল স্বার্থপর হইয়া ঐ ব্যবহার স্থাপন করেন। অতিগুরুতর মন্থর ব্যবস্থায় ব্রহ্মচৰ্য্যরূপে কালক্ষেপণ করিতে বিধবার ঐতি আজ্ঞা আছে এবং মনুসংহিতার কোনস্থানেই পতিমরণানন্তর পত্নীর আত্মঘাতের আজ্ঞা নাই । পরে ঐ রাজমন্ত্রী কহিলেন যে কুলীন মহাশয়েরা এইক্ষণেই অবগত হইবেন যে তৎপ্রকার উক্তি অর্থাৎ সতীপক্ষীয় যে উক্তি রাজমন্ত্রির সভায় নিবেদিত হইয়াছে তাহাতে ব্রাহ্মণেরদের অনুমতি নাই অতএব সতীবিরুদ্ধ বিষয়ক এই প্রার্থনা যেমত গুরুতর তদনুসারে আপনার কাৰ্য্য করিবেন। ( ১০ নবেম্বর ১৮৩২ । ২৬ কাৰ্ত্তিক ১২৩৯ ) স্ত্রীদাহ নিষেধবিষয়ক বিজ্ঞাপন —শ্ৰীলশ্ৰীযুত ইঙ্গলগুষ্ঠিধিপতি গত জুলাই মাসের একাদশ দিবস বুধবারে প্রবি কৌন্সেলে হিন্দুরদের স্ত্রীদাহবিষয়ে ভারতবর্ষের গবর্ণমেণ্টের ১৮২৯ সালের ৪ দিসেম্বরের আজ্ঞা গ্রাহ করিয়াছেন এবং এদেশের কএক জন হিন্দু যে পুনরায় স্ত্রীদাহ হয় এজন্য আবেদনলিপি প্রেরণ করিয়াছিলেন তাহা গ্রাহ করেন নাই এজন্য স্ত্রীদাহ নিবারণের অনুরাগিরা শ্ৰীলশ্ৰীযুতের উপকার স্বীকারের কি কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য বিবেচনাজন্ত ভবিষ্যৎ শনিবার ২৬ কাৰ্ত্তিক ১০ নবেম্বর দুই প্রহর ছয় ঘণ্টা দিবার সময়ে যোড়ার্সকোর ব্রাহ্ম্যসমাজ গৃহে একত্র হইবেন অতএব এই আহবানলিপি প্রকাশে জানাইতেছি যে র্যাহারা স্ত্রীদাহনিবারণে অম্বুরাগ করেন র্তাহারা উক্ত সময়ে ও দিবসে সাধারণগুহ ব্রাহ্ম্যসমাজে আগমন করিযেন ইতি ১২৩৯ সাল ২২ কাৰ্ত্তিক । - - 齡 ঐবৈকুণ্ঠনাথ রায় । ঐরমানাথ ঠাকুর । শ্রীরাধাপ্রসাদ রায় ।
