পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬২ মংৱাদপত্রে মেকালের কথt যৎকিঞ্চিম্মাত্র মান্তত আছে এই উভয় প্রকার দেশহইতেই প্রতিবৎসর সহস্র২ লোক ঐ তীর্থে আগমন করে। এবং আবাল বৃদ্ধবনিতা স্তন্যপায়ী ও মুমুধু সাধারণ সকলেই আসিয়া তথায় স্নান এবং মৃত পূৰ্ব্বপুরুষেরদের অস্থি ও ভস্মাদি গঙ্গাতে সমর্পণ করে। হরিদ্ধারে যে কেবল গঙ্গাই তীর্থ এমত নহে কিন্তু গঙ্গার পশ্চিম তীরে অতিপবিত্র জ্ঞান করিয়া যে স্থানে ব্ৰহ্মা উপবিষ্ট হইয়া ধ্যান পূজাদি করিয়াছিলেন সেই স্থান ব্রহ্মকুণ্ড বলিয়া খ্যাত। অন্যান্য ঘাট অপেক্ষ সেই স্থানের ষে কিছু বৈলক্ষণ্য আছে বোধ হয় না কিন্তু সেই স্থান অতিপবিত্র । ঐ ব্রহ্মকুণ্ডে ও তৎসন্নিহিত স্থানে যে অস্থি ভস্মাদি যাত্রিকেরা সমৰ্পণার্থ পুটুলি করিয়া আনয়ন করে তাহা ক্ষুদ্র এক টুকরা স্বর্ণ কিম্ব রৌপ্যের সঙ্গে একত্র করিয়া সমর্পণপূর্বক তথায় স্বানাদি করে । ব্ৰহ্মা যে স্থানে পূজাদি করিয়াছিলেন কথিত আছে তৎস্থানব্যতিরেকেও হরিদ্বারের পথের মধ্যে অন্যান্য অনেক তীর্থ আছে বিশেষতঃ যে হরিদ্ধারকে কৈলাসদ্বার অথচ মায়াধুরী কহে ঐ হরিদ্বারসমেত পঞ্চবিংশতি সংখ্যক তীর্থ আছে সে সকল স্থানেই যাত্রিকের গমন করিয়া থাকে ঐ সকল তীর্থ বার ক্রোশ ব্যাপিয়া পৰ্ব্বতোপরি কোন তীর্থ বা কোন তীর্থ উপত্যক ভূমিতে। ঐ তীর্থসকলের নাম তপোবন হৃষীকেশ কুজামার ত্রিবেণী বীরভদ্র ভীমকুণ্ড স্থৰ্য্যকুণ্ড লক্ষণকুণ্ড সীতাকুগু ব্ৰহ্মকুণ্ড স্বৰ্গদ্বার গৌঘাট কুশাবৰ্ত্ত নীল পৰ্ব্বত চন্দ্রিক কনখল দক্ষেশ্বর গণেশঘাট নারায়ণশিলা গৌরীকুও তিলভাণ্ডেশ্বর রাজরাজেশ্বর শাথেশ্বর হরিকাচরণ নীলেশ্বর। এই সকল স্থানের মধ্যে চারি পুষ্করিণী ও চারি দেবালয় অবশিষ্টসকল হরিদ্বারের দিগে গঙ্গার পশ্চিম তটস্থ ঘাট । জালাপুরনামক অতিক্ষুদ্র যে গ্রাম তাহাতে ব্রাহ্মণের বসতি আছে সেই স্থানঅবধিই হরিদ্বারের সীমারম্ভ তাহা প্রকৃত স্থানহইতে চারি ক্রোশ তথাহইতে প্রধান সড়কের উভয় পাশ্বে আম্র এবং অন্যান্য ফল ফুলের ছোট বড় নানা জাতীয় বৃক্ষ আছে এবং যে স্থানে এবম্বিধ বন নাই সেই স্থান গঙ্গার দক্ষিণ তীরে বৃহৎ২ মাঠসকল এবং তাহার বাম তীরে শস্যাদি ক্ষেত্ৰসকল পৰ্ব্বতের নিম্নভাগপৰ্য্যন্ত । সেই স্থানঅবধিকরিয়াই পৰ্ব্বত শ্রেণীর আরম্ভ । জালাপুরহইতে দুই ক্রোশ অন্তরে অর্থাৎ ঐ স্থান ও হরিদ্বারের মধ্যবৰ্ত্তিস্থানে কনখল নগর আছে সে অতি বাণিজ্যের স্থান এবং তথায় রাজাসকল এবং গঙ্গাভক্ত ব্যক্তিরা প্রস্তর ও ইষ্টকনিৰ্ম্মিত অতিক্ষুন্দর বৃহৎ২ দুই তিন তালার অট্টালিকাসমূহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। পৰ্ব্বতীয় স্রোতঃ স্থানের শুষ্ক ভূমিতে অতিবাহুলারূপে চুণে পাতর প্রাপ্ত হওয়ায় এবং তথাকার ভাটিতে অতিশুভ্র অথচ অতিতীক্ষ চুণ প্রস্তুত হয় তাহার পর দক্ষিণ দিগে ক্ষুদ্র একটা পথ আছে তাহার উভয় পার্থে নাগাসন্ন্যাসিরদের ওখারা অর্থাৎ উপবেশনীয় আসন ঐ সকল নাগাসন্ন্যাসিরা একপ্রকার দিগম্বর যোগী এবং সেই স্থানে তাহারদিগের এক২ জনের এক২ দেবালয় আছে তাহারা সহস্র২ জন ছয় অথবা বার বৎসর অস্তরে তথায় আগমন করিয়া প্রত্যেক জন এক ২ পতাকা উত্থাপিত করেন ঐ ক্ষুদ্র পথ নদীর পশ্চিমতীর দিয়া কিন্তু প্রধান পথ ক্ষুদ্র পৰ্ব্বতদিয়া যায়