পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃনংবাদ পত্রে মেকানের কথft فa& সতীহওনের বিধান থাকে তবে শাস্ত্রাস্তরে তাহার নিষেধও আছে । স্বজনেরা ঐ সকল স্ত্রীরদিগকে অত্যন্ত তর্জনপূর্বক শাসন করিয়া কহেন যে তোমরা যদি স্বামির মরণের পর জীবিত থাক তবে সৰ্ব্বপ্রকার দুঃখ ঘটিবে। এই ভয়প্রযুক্তই তাহারা অগ্নিতে প্রাণ ত্যাগ করে এবং যদ্যপি কেই এমত বিবেচনা করেন যে জীবদ্দশাতে থাকিতে লোকের বিশেষতঃ যুবজনের মনে পরমেশ্বর নিতান্তই ইচ্ছা দিয়াছেন তবে তিনি ইহার সত্যতা নিশ্চয় জানিতে পরিবেন। অতিযন্ত্রণাঘটিত মৃত্যুর ভয় সকলেরই আছে বটে কিন্তু অখ্যাতি ও দরিদ্রত কি অনাহারের যন্ত্রণার ভয়ের দ্বারা ঐ দারুণ মৃত্যুভয়ও দূর হইতে পারে। তবে বঙ্গ দেশীয় লোকেরা অনেক সতী হওনবিষয়ে আপনারদের দেশ যে অত্যুত্তম জ্ঞান করিতেন সে অতিঘৃণ্যই । ফলে বঙ্গ দেশে পুনঃ২ সতী হণ্ডনের মুখ্যকারণ এই যে আত্মীয় স্বজনের নির্দয়ত ও লোভ। তাহার প্রমাণ কুরুক্ষেত্রে ও অযোধ্যা ও আর্য্যাবর্তের অন্যান্য স্থানে শাস্ত্র অতিমান্য ছিল এবং এখনও আছে তথাপি সেই সকল প্রদেশে সতীহওন অত্যয় । # অতএব বঙ্গদেশীয় লোকেরা ইহা বিবেচনা করুন এবং যুক্তি সহ এই আপত্তি যদ্যপি খণ্ডন করিতে পারেন করুন । বঙ্গদেশে যেমন সতীর অতিবাহুল্য ছিল তেমন নেপালেও হইত কিন্তু জেনরল মাতবর সিংহের পরিবারস্থ বিধবারদিকে দেখিয়া বোধ হয় কেবল নির্দয়তাপ্রযুক্তই বিধবারদিগকে চিতারোহণ করাইত। মাতবর সিংহ অতিধাৰ্ম্মিক এবং অত্যন্ত হিন্দুধৰ্ম্মপরায়ণ উক্ত যাত্রী এমত লিখিয়াছেন এবং আমি ইহাতে প্রমাণ দিতে পারি যেহেতুক আমিও ঐ পশুপতিনাথ তীর্থে গমন করিয়াছিলাম। ফলতঃ ঐ সিংহজী অতিদয়ালু ও সংস্বভাবী এইপ্রযুক্ত র্তাহার পরিবারস্থ বিধবারা আশ্রয় প্রাপণবিষয়ে নির্ভয় হইয়া স্ব২ বালকেরদিগকে প্রতিপালন ও সুশিক্ষিতকরণার্থ প্রাণধারণ করিতেছেন এবং যে নিৰ্দ্দয় ব্যবহার শাস্ত্রাচুগামি ব্যক্তিরদের স্বাভাবিক অতিবিরুদ্ধ ঐ ব্যবহার যে তিনি সচ্ছালাস্ত: করণেতে তুচ্ছ করিয়াছেন এইপ্রযুক্ত ঐ বিধবারদের আশীৰ্ব্বাদ পাইতেছেন। অন্য যাত্রী । নেপাল । ( ৭ অক্টোবর ১৮৩৭ । ২২ আশ্বিন ১২৪৪ ) জগন্নাথের কর উঠিবার বিষয় –কোর্ট অফ ডৈরেকটরের আজ্ঞাবশত গরণমেণ্ট জগন্নাথের কর উঠিয়া দেওয়ার উপায় চেষ্টা করিতেছেন তাহা সকলে জানেন কোর্ট অফ ডৈরেকটরের ইচ্ছানুসারে কিপ্রকার ইহা রহিত হইতে পারে তাহা আমরা সংক্ষেপে লিখিব । ১৮৩৫ সালের ১২ আইনের ৩০ অধ্যায়ে গবর্ণমেণ্ট জগন্নাথের সেবার্থ ক্রমাগত বিহিত বেতন যাহা দিতে অঙ্গীকার করেন তাহা দিবেন আর জগন্নাথের মন্দিরের যে সকল কাৰ্য্য তাহাতে যেন ইঙ্গরেজের হস্তার্পণ না হয় এবং তৎকৰ্ম্ম উত্তমরূপে হয় তন্নিমিত্ত ১৮০৯ সালের ৪ আইনানুসারে খুরদার রাজার প্রতি ঐ সকল কৰ্ম্মের ভারাপণ হয় পূৰ্ব্বে গবর্ণমেন্ট যত রেতন দিয়াছিলেন তাহ বিবেচনা করিয়া আন্দোলন করিলে ১৮০৮ সালে লর্ড মিণ্ট সাহেব