পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম Pፋ¢ বালকেরা পাছে খ্ৰীষ্টীয়ান হয় এই ভয়ে তাহারদিগকে কালেজ হইতে বাহির করিয়া লইবেন অতএব আমারদিগের প্রার্থনা যে ঐ স্থানে গির্জা স্থাপন না হয় এবং চিকিৎসা শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষেরাও এতদ্রুপ এক দরখাস্ত ঐ ক্রযুক্ত সাহেবের নিকটে দেন ঐ দুই দরখাস্ত পাইয়া শ্ৰীযুত লার্ড বিশোপ সাহেব উক্ত স্থানে গির্জা স্থাপন স্থগিত করিয়া হিন্দুকালেজের কমিটিকে কহিলেন যে ঐ স্থানহইতে পোয়াক্রোশ অন্তর বড়রাস্তার ধারে এতদ্রুপ অন্য এক খণ্ড ভূমি যদ্যপি আমারদিগকে দেন এবং ঐ স্থানের নিমিত্ত যে ব্যয় হইয়াছে তাহা দেন তবে ঐ স্থানে গির্জা স্থাপন করা যাইবে না তাহাতে কমিটি স্বীকৃত হইয়া শ্ৰীযুত লার্ড বিশোপ সাহেবকে লিখিলেন যে এইক্ষণে ছাত্রেরদের পিতা মাতারদিগকে বারণ করিয়া দেওয়া যাইবে যে র্তাহারা বালকেরদিগকে ঐ গির্জাতেও না যাইতে দেন । ( ২৩ মার্চ ১৮৩৯ । ১১ চৈত্র ১২৪৫ ) নূতন মন্দির –সম্বাদ পত্র দ্বারা অবগম হইল যে শ্ৰীযুত রষ্টমজি কওয়াসজি ডুমতলায় অতি বৃহৎ একখণ্ড ভূমি ক্রয় করিয়াছেন এবং তদুপরি বৃহৎ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া স্বজাতীয় কতিপয় পারসীয়েরদিগকে স্থাপন করিতে নিশ্চয় করিয়াছেন তাহারা অগ্নির উপাসক । আরো অবগত হওয়া গেল যে টেপুস্থলতানের বংশু একজন ধৰ্ম্মতলা ও কসাইটোলার রাস্তার কোণাকোণি একখণ্ড ভূমি ক্রয় করিয়াছেন ঐ স্থান অপেক্ষাকৃত সকলের দৃশ্ব ঐ স্থানে এক বৃহৎ মসজিদ স্থাপন করিবেন । ধৰ্ম্মসভা ( ১৭ এপ্রিল ১৮৩০ । ৬ বৈশাখ ১২৩৭ ) ধৰ্ম্মসভাধ্যক্ষদিগের অষ্টম বৈঠক —গত ২৩ চৈত্র রবিবার বৈকালে বটতলার গলিতে বাৰু কাশীনাথ মল্লিকের দরুন বাসাবাটীতে অধ্যক্ষদিগের বৈঠক হইয়াছিল ঐ বৈঠকের স্কুল বিবরণ প্রথমতঃ সম্পাদক কতৃক গত বৈঠকের বিবরণ পঠিত হইল পরে প্রশ্ন হইল সতীর পক্ষ যে আরজী বিলাত পাঠাইতে হইবেক তাহাতে কাহারো কিছু বক্তব্য আছে কি না উত্তর উত্তম হইয়াছে কোন প্রধান ইঙ্গরেজের নিকট ইহা সংশোধনার্থ প্রেরণ কর্তব্য । শ্ৰীযুত বাবু রাধাকান্ত দেব সে ভার গ্রহণ করিলেন । যাহার দ্বারা আরজী প্রেরিত হইবেক সে লোকের বিবেচনা নিমিত্ত শ্ৰীযুত বাৰু কাশীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রযুত বাবু রাধাকান্ত দেব শ্ৰীযুত বাবু গোকুলনাথ মল্লিক শ্ৰীযুত বাবু আশুতোষ দেব শ্ৰীযুত বাবু শিবচন্দ্র দাস ও শ্ৰীযুত বাৰু তারিণীচরণ মিত্র এই ছয় জন বিবেচক স্থির হইলেন র্তাহারা কোন দিবস শ্ৰীযুত বাবু গোপীমোহন দেবের বাটীতে বৈঠককরত লোক বিবেচনা করিয়া স্থির করিবেন। চাদার টাকা আদায়ের ফর্দ দর্শন গেল র্যাহারদিগের নিকট অদ্যাপি টাকা পাওয়া যায়