পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&హినీ সংবাদ পত্রে সেকালের কথা ( ১২ অক্টোবর ১৮৩৩ । ২৭ আশ্বিন ১২৪০ ) ধৰ্ম্মসভা —.আমরা নূতন মহারাজের অনুপম শাসন দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়াছি ধৰ্ম্মসভার নিয়মপত্রে লিখিত আছে যে সতীদ্বেষী কোন ব্যক্তির সঙ্গে দলপতি মহাশয়ের কেহ ব্যবহার করিবেন না ইহা সভাসম্পাদক চন্দ্রিকণপত্রে ব্যক্ত করিয়া থাকেন আর ব্যক্ত করেন শ্ৰীযুত বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর সতীদ্বেষী এ বিষয় প্রকাশকের নিগূঢ়াভিপ্রায় কিছুই বুঝা যায় না যেহেতুক উক্ত ঠাকুর বাবুর বাটতে যে বৃহৎ কৰ্ম্ম উপস্থিত হইয়াছিল তাহাতে অনেকেই পত্র গ্রহণ করিয়াছেন বিশেষ ধৰ্ম্মসভার পণ্ডিতাধ্যক্ষ শ্ৰীযুত নিমাইচাঁদ শিরোমণি ভট্টাচাৰ্য্য কোম্পানির পাঠশালায় বসিয়া পত্র গ্রহণ করিয়া কহিলেন আমার এক ভ্রাতা ঠাকুরবাবুর চাকর আমিও ঐ বাটীর পত্র পরিত্যাগের পাত্র নহি অপাত্রেরা যাহা ইচ্ছা তাহাই বলুক্‌ ইহা শুনিয়া শ্ৰীযুত মহারাজ গোপীমোহন দেব বাহাদুর ক্রোধাম্বিত হইয়া ধৰ্ম্মসভার নিয়মপত্র স্মরণপূর্বক উক্ত ভট্টাচাৰ্য্যকে প্রযুক্ত বৃন্দাবনচন্দ্র পালের বাটীর পত্র দিতে বারণ হুকুম দিলেন ঐ হুকুমানুসারে পালের বাটীর অধ্যক্ষ বালক অন্য কোন হতপর লোককে সহকারি করিয়া প্রায় দুই প্রহরপর্য্যস্ত পত্র-না দিয়া রাজচরিত্র বিচিত্র ভাবনা করিয়া উক্ত ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে পত্র দিয়াছেন তাহাতেই মহারাজা সস্তুষ্ট ইহাতে মহারাজের ধৰ্ম্মে সমবৰ্ত্তিতা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা বোধ হইতে পারে কিন্তু ধৰ্ম্মসভাসম্পাদকের উক্ত বিষয় ব্যক্তকরার বার্থতা বোধ হয় কি না বিজ্ঞ মহাশয়েরা বিবেচনা করিবেন ইতি । কুমারহটনিবাসিনঃ কস্যচিন্নিবেদনং | ( ১৫ মার্চ ১৮৩৫ ৩ চৈত্র ১২৪ ) ধৰ্ম্মসভা ও ধৰ্ম্মসভার অগ্রগণ্য চন্দ্রিক সম্পাদকের অত্যাশ্চৰ্য্য ব্যবহারের দ্বারা গত সপ্তাহদ্বয়ের মধ্যে কলিকাতানগরে একটা মহাগণ্ডগোল উপস্থিত হইয়াছে তদ্বিশেষ বৃত্তাস্ত এই সংপ্রতি শ্ৰীযুক্ত বাবু রাজকৃষ্ণ সিংহের ও শ্রীযুক্ত বাৰু মথুরানাথ মল্লিকের বাটতে বিবাহ হইয়াছে তাহারা উভয়ই অতিধনী ও মান্ত । বাবু মথুরানাথ মল্পিক রামমোহন রায়ের মিত্র এবং সতীনিবারণ রীতির সপক্ষ ছিলেন । অপর চন্দ্রিকণসম্পাদক মহাশয় যখন শুনিলেন যে ঐ বিবাহ হইবে এবং তাহাতে অনেক কায়স্থ ঘটক কুলীনেরদের নিমন্ত্রণ হইয়াছে তখন ধৰ্ম্মসভার এক বৈঠক করাইয়া ঐ সভার প্রধান২ অধ্যক্ষ অথচ কলিকাতার প্রধান২ দলপতিরদিগকে ঐ বিবাহে নিমন্ত্রিত কায়স্থেরদের গমনবারণার্থ যথাসাধ্য প্রবোধ জন্মাইলেন তাহাতে তদন্ত্রকারি এক হুকুম জারী হইল এবং ঐ বিবাহে যে ঘটক কুলীনের গমন করিবেন র্তাহারদিগকে অব্যবহাৰ্য্যতার ভয় দর্শন গেল তৎপ্রযুক্ত অনেকে তথায় যাইতে অসম্মত হইলেন আরো ধৰ্ম্মসভা প্রত্যেক জন কায়স্থের স্থানে এক২ একরারনাম লিখিয়া লইলেন তাহার প্রতিলিপি এই ।