পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম - (Uጫ সহমরণ বারণের চূড়ান্ত হুকুম আসিয়া অবধি ঐ সভার ক্রমে ঐ নাশই দেখিতেছি যদিবা সম্পাদক মহাশয় দলাদলির কৌশলে কিঞ্চিৎকাল গৌরব রাখিয়াছিলেন সভার অন্তঃপাতি মহাশয়েরা সেপথেও কণ্টকার্পণ করিতেছেন। সহদাহ বিষয়ে নিরাশ হইয়া ধৰ্ম্মসভা প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন রামমোহন রায়ের মতস্থ লোকেরদের ছায়া স্পর্শ করিবেন না কিন্তু ঐ সভার প্রধান এক সভ্য শ্ৰীযুত বাবু ভগবতীচরণ মিত্র যিনি ব্রাহ্মণগণকে প্রণাম করিতেই কপালে শালগ্রাম করিয়াছেন তিনিই শ্ৰীযুত মথুরানাথ মল্লিকের ঘরে কন্যাদান করিলেন এবং সিংহের দল যাহার নাম শ্রবণে ধৰ্ম্মসভা বিষ্ণু স্মরণ করেন ঐ দলস্থ শ্ৰীযুত রসিকলাল সেনের ভায়াকে ঐ মিত্র বাবু অন্ত কন্যা দিয়াছেন অনন্তর শ্ৰীযুত বাবু শিবনারায়ণ ঘোষ যিনি ধৰ্ম্মসভার প্রধান স্বামী তিনিও ধৰ্ম্মসভাকে ত্যাজ্য করিয়াছেন এবং শ্ৰীযুত বাবু কালাচাদ বস্থ যিনি দলাদলি বিষয়ে ধৰ্ম্মসভার পোষক ছিলেন এইক্ষণে ঐ সভার প্রতি র্তাহার যেরূপ অনুরাগ তাহ চন্দ্রিকাতেই প্রকাশ হইয়াছে অতএব ক্রমশ ধৰ্ম্মসভার শেষাবস্থাই ঘটিল এইক্ষণে আমি জিজ্ঞাসা করি ধৰ্ম্মসভার সর্ব ধন বেথি সাহেবের গর্ভেতেই গিয়াছে না সঞ্চিত কিঞ্চিৎ আছে যদি থাকে তবে সভার চিরস্মরণীয় কোন কীৰ্ত্তি স্থাপন করুন চতুদিগে পাচ সাত শত ক্রোশ ব্যাপিয়া যাহার অধিকার উত্তরকালীন লোকেরা কোন চিহ্ন দেখিয়া তাহাকে সরণ করিলেন । ( ২৩ ডিসেম্বর ১৮৩৭ । ১০ পৌষ ১২৪৪ ) নিখিলগুণালঙ্কত শ্ৰীযুত দর্পণ প্রকাশক মহাশয় সমীপেষু —.এতন্মহানগর কলিকাতার মধ্যে ধৰ্ম্ম ও ব্রহ্ম এই সভাদ্বয় আছে তাহার পূৰ্ব্বোক্ত সভার অধ্যক্ষগণের মধ্যে অনেকেরি এক২ দল আছে তাহারা সকলে ঐক্য হইয়া ব্ৰহ্ম সভার অধ্যক্ষ অথরা তৎসভাস্থ ব্যক্তিরদিগের সহিত আহার ব্যবহার একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছেন। কিন্তু সংপ্রতি শ্ৰীযুত বাৰু শিবনারায়ণ ঘোষের মাতার আদ্য শ্রাদ্ধোপলক্ষে ঐ সভাধ্যক্ষ শ্ৰীলশ্ৰীযুত মহারাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের দলক্রান্ত গোষ্ঠীপতি মহাশয়েরা ও সিদ্ধাস্তশেখর শিরোরভু ফাকিচাৰ্য্য বেদাস্তবাগীশ ও তর্করত্ন ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি পণ্ডিতগণের ও গোষ্ঠীপতি মহাশয়েরা উক্ত ঘোষজার বাটীতে শ্রাদ্ধ দিবসে প্রত্যুষে বিড়ালের ন্যায় শেয়ালী জাঙ্গালী করিয়া আসিয়াছেন এবং শিদাদীও গ্রহণ করিয়াছেন ইহার মধ্যে কোনই রত্ন মহাশয়ের প্রথমে অপ্রাপ্ত হইয়া বিসাদে প্রায় নিম্প্রত্যাশ হইয়াছিলেন পরে বহু যত্বে ফাকি তর্ক করিয়া প্রাপ্ত হইলেন । সে যাহা হউক উক্ত মহাশয়েরা এই প্রথম ঘোষজার বাটীতে অধিষ্ঠান হইয়াছেন এমত নহে প্রায় সকল ক্রিয়াতেই যাইয়া থাকেন। ইহাতে আশ্চর্ষ্য বিষয় এই যে রাজা বাহাদুর অথচ ধৰ্ম্ম সভাধ্যক্ষ নাম ধারণ করেন কিন্তু ইহার কিছুই বিবেচনা করেন না বরঞ্চ ঐ সকল ব্যক্তির র্তাহার দল মধ্যে প্রধান রূপে কর্তৃত্ব করিয়াও থাকেন । এইক্ষণে অম্মদাদির বোধে রাজা বাহাদুরের পক্ষে কৰ্ত্তব্য এই যে তিনি মুখে ধৰ্ম্মসভাস্থ কার্ষ্যে তাহার বিপরীতাচরণ না করিয়া