পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য় දෘඪාංශු “তর্কপঞ্চাননের পরিবারবর্গ আট শত বিঘা জমির মালিক । এষ্ট জমি বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত এবং ইঙ্গ হইতে বছরে আট শত টাকা আয় হয়। পরলোকগত জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন মহা খ্যাতিমান পুরুস ছিলেন । তিনি তাতার বেশীর ভাগ সময় অসংখ্য ছাত্রের শিক্ষাদানকার্য্যে ব্যয় করিতেন । র্তাহার পেন্সনের টাকা বাহাল রাখিবার জঙ্গ র্তাঙ্গর পৌত্র কাশীনাথ আবেদন করিয়াছেন ; দেখা যাইতেছে তর্কপঞ্চাননের পরিবারবর্গের বিদ্যান্থশীলন ও ছাত্রবর্গের অধ্যাপনা-কাৰ্য্য বজায় রাখিবার জন্যই প্রধানত: কাশীনাথ 考 এই আবেদন-পত্র পাঠাইয়াছেন । কিন্তু যতটা জানি, আবেদনকারী কাশীনাথ অথবা বংশের অন্ত কেই তর্কপঞ্চাননের মত প্রতিভা বা উদ্যমের অধিকারী হন নাই ! এই পরিবারের একমাত্র গঙ্গাধরই খুব যোগ্য লোক । তিনি কয়েক বৎসর কৃষ্ণনগরে জজপণ্ডিত ছিলেন ; পিতামহ জগন্নাথের দেহত্যাগের মাস-কয়েক পূৰ্ব্বে তাহার মৃত্যু হয় ।” হুগলীর ম্যাজিষ্ট্রেটের এই পত্র পাইয়া গবর্ণব-জেনাবেল কাশীনাথের আবেদন মঞ্জুর করা সঙ্গত মনে করেন নাই । জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের কোন চিত্র আমি দেখি নাই । সম্প্রতি সোমপ্রকাশ পত্রের পুরাতন সংখ্যাগুলি দেখিতে দেখিতে তাহার এক ক্ষোদিত মুর্ভির উল্লেখ পাইয়াছি । ১১ জানুয়ারি ১৮৬৪ তারিখের সোমপ্রকাশে একখানি "প্রেরিত পত্র প্রকাশিত হয়। পত্ৰখানির অংশ-বিশেষ এইরূপ,— “সেদিন মৃত মহাত্মা মাকু ইস কর্ণওয়ালিস সাহেবের সমাধিস্থান সন্দশন করিতে গিয়াছিলাম ..সমাধি গুহটী অতি উৎকৃষ্ট এবং প্রস্তররচিত। উচার মধ্যস্থলে একটা প্রস্তরময় মঞ্চে মৃত মহাত্মার মুগাকৃতি ক্ষোদিত আছে, এবং তাঙ্গার এক পার্শ্বে জগন্মাষ্ঠ পণ্ডিতবর জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের ও অপর পার্শ্বে একজন মৌলবীর পূর্ণ প্রতিমূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রছিয়াছে।... . . . গাজীপুর ” পৃ. ১০৪–হরিহরানন্দনাথ তীর্থস্বামী হরিহরানন্দ সম্বন্ধে বিস্তুত বিবৰণ যাহার। জমিতে ইচ্ছুক, ঠাঙ্গাদিগকে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত সাহিত্য-সাধক-চরিতমালার ৯ম পুস্তক রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ ও হরিহরানন্দনাথ তীর্থস্বামী’ পাঠ করিতে অনুরোধ করি । - ۷۹ هومر পৃ. ১০৫–প্রাণকৃষ্ণ তর্কালঙ্কা প্রাণকৃষ্ণ তর্কালঙ্কার পুড়া-নিবাসী কদল সিদ্ধান্ত ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়েব পুত্র। র্তাঙ্গর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি ছিল । দেওয়ান রামলোচন ঘোষের অন্যতম পুত্র দেবনারায়ণ ঘোষের অনুরোধে প্রাণকৃষ্ণ একটি গঙ্গাস্তোত্র রচনা করিয়াছিলেন ; ইহা ১৮৪১ সনে পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হইয়াছিল। এই রচনাটি আমি ১৩৪৪ সালের প্রথম সংখ্যা ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় পুনমুদ্রিত করিয়াছি ।