পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩৬ - মংবাদপত্রে মেনকালেৰ কথা পৃ. ১০৮—বাংলা ছাপার হরফের জন্মকথা শিক্ষা, সাহিতা ও সভ্যতার প্রসার মুদ্রণযন্ত্রের সঠিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বলিয়া এই সকল বিষয়ে যাহাদের আগ্রহ আছে, মুদ্রাষন্ত্রের ইতিহাস সম্বন্ধেও সৰ্ব্বদাই তাতাদের কৌতুহল দেখা গিয়াছে। এই কারণে ইউরোপে মুদ্রাষন্ত্রের প্রবর্তন ও উন্নতির বিবরণ অতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখিত হইয়াছে । আমাদের বাংলা দেশে মুদ্রাষন্ত্রের ইতিহাস সেইরূপ সূক্ষ্মভাবে আলোচিত ত তয়ই নাই, এমন কি তাহার সম্বন্ধে বিশেষ কোন অমুসন্ধানও হয় নাই । ইহার ফলে বাংলা দেশে মুদ্রণ ও ছাপার অক্ষরের প্রবর্তন সম্বন্ধে নানারূপ ভ্রাস্ত ধারণা প্রচলিত আছে । ইউরোপে পৃথক হরফ সাজাইয়া মুদ্রণরীতি প্রবর্তিত হইবার পূর্বে কাঠের ব্লক হইতে পুস্তক ছাপা হইত। এই সকল ব্লকে পৃথক্ অক্ষর ব্যবহৃত হইত না, একটি পৃষ্ঠা একসঙ্গে খোদাই করা হইত। ইহা হইতে অনেকে অনুমান করিয়া থাকেন, বাংলা দেশেও প্রথমে কাঠের অক্ষর ব্যবহৃত হইয়াছিল । প্রকৃতপ্রস্তাবে এই ধারণা ভুল । এদেশে ছাপ & ছাপার অক্ষরের প্রবর্তন করেন ইংরেজরা । সুতরাং যে-সময়ে উহার প্রবর্তন হইয়াছিল, ঠিক সেই সময়ে ইউরোপে ছাপার রীতি ও পদ্ধতি যেরূপ ছিল, সেই রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলা হরফ ও ছাপার উৎপত্তি হয় । এদেশের লোক যদি নিজের বুদ্ধিতে নুতন করিয়া মুদ্রণপদ্ধতি আবিষ্কার করিত তাহা হইলে হয়ত ধাপে ধাপে অগ্রসর হুইবার কারণ থাকিত । কিন্তু তাহা হয় নাই বলিয়া বাংলা দেশে একেবারে প্রথম হইতেই পৃথক সীসার টাইপ হইতে মুদ্রণরীতি প্রচলিত হয়। বাংল। দেশে মুদ্রাষন্ত্রের ইতিহাস খুব পুরাতন নয়। কোম্পানীর এক জন সিবিলিয়ান—ন্তাখানিয়েল af saitēs Fặ+ Rf5 z & > 3^v *ER ARFff-RE A Grammar of the Bengal Language পুস্তকে বাংলা ছাপার অঙ্গর সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়। বাংলা মুদ্রাঘন্ধের ইতিহাসের স্বত্রপাত ইহা হইতেই হয় । অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলা দেশে ইংরেজ-শাসন স্বপ্রতিষ্ঠ হইবার পর ইংরেজরা এদেশের ভাষা শিখিবার প্রয়োজন অমুভব করিতে আরম্ভ করেন । এই প্রয়োজনের বশে ওয়ারেন হেষ্টিংস যখন গবর্ণর-জেনারেল তখন স্যাথানিয়েল ব্রাসি হলহেড বাংলা ভাষার একটি ব্যাকরণ রচনা করেন । এই পুস্তক লিথিত হুইবার পর প্রশ্ন উঠে বাংলা টাইপ ভিন্ন উহা কি করিয়া ছাপ। যাইতে পারে ? উহার পূৰ্ব্বে উইলিয়ম বোণ্টস বিলাতে এক প্রস্থ ( ফাউণ্ট ) বাংলা অক্ষর তৈরি করাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু উহ। একেবারে বিফল হয় । এই অবস্থায় ওয়ারেন হেষ্টিংস চার্লস (পরে সার চার্লস্) উইলকিন্স নামে কোম্পানীর এক জন সিবিলিয়ানকে বাংলা অক্ষরের ছেনি কাটিয়া দিতে অনুরোধ করেন। উইলকিন্স এক জন সুপণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন, ওয়ারেন হেষ্টিংসের উৎসাঙ্গে ভগবদগীতার ইংরেজী অনুবাদ করিয়া । ১৭৮৫ সনে প্রকাশ করেন, তৎপূৰ্ব্বে কোনও সংস্কৃত গ্রন্থ ইংরেজীতে অনুদিত হইয়া প্রকাশিত হয় নাই। এদেশের ভাষায় স্তাতার বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল। তাঙ্গ ছাড়া উহার নানা বিষয়ে আগ্রহ ও নিপুণতা ছিল । তিনি ইতিপূৰ্ব্বে শুধু নিজের খুশীতে বাংলা অক্ষরের দু-একটি ছেনি প্রস্তুত করিয়াছিলেন । ইহা ওয়ারেন তেষ্টিংসের জানা ছিল বলিয়াই তিনি উইলকিন্সকে বাংলা ছাপার অক্ষর তৈরি . করিবার জঙ্গ অনুরোধ করেন। হলহেডের সহিতও উইলকিন্সের বন্ধুত্ব ছিল । সুতরাং তিনি সাগ্রহে এই কাঙ্গে প্রবৃত্ত হইলেন। উহার জন্য তিনি নিজের