পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাজকীয় ጫ¢U পৃ. ৩৭১–রাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায় রাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৫২ সনের ২৫এ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন । পরবর্তী ২৭এ ডিসেম্বর তারিখে ‘সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয়’ লিখিয়াছিলেন – “আমরা খেদ পূর্বক প্রকাশ করিতেছি নিমতলা নিবাসি মহাধনসম্পন্ন ভরাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ু মহাশয় গত পরশ্ব আকস্মিক পক্ষাঘাতে পার্থিব লীলা সম্বরণ করিয়াছেন । উক্ত মহাশয় কলিকাতা নগরীর মধ্যে অতি প্রাচীন ছিলেন ধনবান সন্ত্রান্ত ভদ্রজন মধ্যে তাদৃশ অধিকবয়স্ক ব্যক্তি আর দ্বিতীয় নাই, অতএব তাহার আকস্মিক পরলোক গমনে সকলেই দুঃখিত হইবেন । উক্ত মহাশয় প্রত্যহ সায়ং প্রাতঃ শকটারোহণে ভ্ৰমণ করিতেন গর্ত পরশ্ব প্রাতঃকালে নিয়মানুসারে ভ্রমণ করিতে যান বেলা নবম ঘটিকার সময় প্রত্যাগমন করিয়া বাট প্রবেশ মাত্রে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হইয়া দুই চারি ঘণ্টার মধ্যে প্রাণত্যাগ করেন " র্তাহার মৃত্যু-প্রসঙ্গে পৃ. ৩৯৯ – বাঙালীর রাষ্ট্রচেতন ১৮৫২ সনের ২রা মার্চ তারিখেব সংবাদ প্রভাকর’ হইতে নিমোদ্ধত অংশে বাঙালীর রাষ্ট্ৰচেতনার পরিচয় পাওয়া যাইবে – “..ঐক্যমতে সভা স্থাপন পূর্বক স্বদেশের সৌভাগ্যের বিষয় বিবেচনা করণের প্রথা এখানে অতি বিরল, সতী রীতি নিবারণ মূলক আইনপত্র প্রকাশ হইলে হিন্দুরা ঐক্যমতে ষে এক ধৰ্ম্মসভা করিয়াছিলেন তাহাতে একতা বন্ধন হওয়া দূরে থাকুক বরঞ্চ তাহার উচ্ছেদ হইয়াছে, ঐ সভার কল্যাণেই দলাদলির ঢলাঢ়লি কাণ্ড এই বঙ্গরাজ্যে উপস্থিত হইয়া পিতাপুত্রের বিচ্ছেদ ঘটাইয়াছে, জাতিমারণ, বিষ্ণুস্মরণ, গোময় ভক্ষণ, ব্রাহ্মণের বৃত্তিচ্ছেদ প্রভৃতি বিবিধ প্রকার অনিষ্ট্রের সূচনা হইয়াছে, ধৰ্ম্মসভার পরে রাজকীয় বিষয়ের বিবেচনা জন্য অপর যে একটা সভা হইয়াছিল তন্মধ্যে বঙ্গভাষা প্রকাশিক সভাকে প্রথম বলিতে হইবেক, ঐ সভায় মৃত মহাত্মা রায় কালীনাথ চৌধুরী, বাবু প্রসন্নকুমার ঠাকুর, মুন্সিআমীর প্রভৃতি অনেক ব্যক্তির রাজকীয় বিষয়ের বিবেচনা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, নিষ্কর ভূমির কর গ্রহণ বিষয়ক প্রস্তাবের অতি সুচারু বিচার হয়, জিলা নদীয়ার বর্তমান প্রধান সদর আমীন ঐযুত রায় রামলোচন ঘোষ বাহাদুর গবর্ণমেণ্টের পক্ষ হইয়া অনেক প্রকার বিতর্ক উপস্থিত করিলে মহাশয়ের প্রভাকর পত্রে তাহার সুচারু বিচার হইয়াছিল ঐ সময়ে সম্বাদ ভাস্কর পত্রের জন্মগ্রহণও হয় নাই, কিন্তু কেবল একতার অভাবে ঐ সভার উচ্ছেদ হইয়াছে, রায় কালীনাথ চৌধুরী প্রভৃতি মহাশয়ের প্রহ্মসভা পক্ষে থাকাতে ধৰ্ম্মসভার লোকেরা তাহাতে সংযুক্ত হয়েন নাই, বঙ্গভাব প্রকাশিক সভার পতন কারণ স্মরণ হইলে আমারদিগের অন্তকরণে কেবল আক্ষেপ তরঙ্গ বৃদ্ধি হয়, ঐ সভার পরে মৃত মহাত্মা বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয়ের বিশেষ প্রযত্নে ভূম্যধিকারি সভা নামে অপর এক সভা স্থাপিত হয়, মেম্বর মহাশয়ের যদি অনেক প্রকার সংকৰ্ম্ম সাধনের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন