পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় । ԳեոՓ দিয়াছেন। রামরত্ব পরে “রায় বাহাদুর" হইয়াছিলেন। বড়লাট লর্ড উইলিয়ম বেটিঙ্ক ৰ্তাহাকে কৃপার চক্ষে দেখিতেন। এদেশে ফিরিবার পর তিনি গবন্মেটি হাউসে যাইবার জন্য একবার লেউী বেটিঙ্কের আমন্ত্রণ-পত্ৰ পাইয়াছিলেন। তাছাকে একটি চাকরি দিবার জন্য ২৪-পরগণার জজ—মুর সাহেব বড়লাটের নির্দেশে লিখিত একখানি সুপারিশ-পত্ৰ পাইয়াছিলেন। রামরত্ব ১৮৩৫ সালের ২৯এ ডিসেম্বর তারিখে মুর্শিদাবাদে ডেপুটি কলেক্টরের পদ পাইয়াছিলেন । হুদা ঈশানপুর খাসমহল র্তাহার তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৮৪৪ সালের আগষ্ট মাস পৰ্য্যস্ত তিনি এই কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন । শেষে আলস্যপরায়ণ ও কর্তব্যকৰ্ম্মে অজ্ঞ—এই অপরাধে তাহার চাকরি যায় – Poard of Pevnue Cons. 20 Faby. 1838, Nos. 160-62 ; 25 Aug. 1841, No 33. 13 Dec. 1844, No. 30 &AI পৃ. ৫১২—সদাশিব তর্কালঙ্কার সদাশিব তর্কালঙ্কার সম্বন্ধে ১৪ জুন ১৮৫১ ( ১ আষাঢ়, ১২৫৪ ) তারিখের ‘সম্বাদ ভাস্করে’ পাই :– “উলা নিবাসি পণ্ডিত শিরোমণি সদাশিব তর্কালঙ্কার ভট্টাচার্ষ্য মহোদয় ৮৯ বৎসর পৃথিবী মধ্যে ঋষ্যাদির ন্যায় কালক্ষেপ করণ পূর্বক দুই পুত্র ও পৌত্র রাখিয় কিয়দিবস স্বরপনী তীবে বাস করত ৫ জ্যৈষ্ঠ দিবা ছয় দণ্ড থাকিতে জ্ঞানপূর্বক ভৌতিক দেহ ত্যাগ করিয়া বৈকুণ্ঠ গমন করিয়াছেন ঐ পণ্ডিত চূড়ামণির বিয়োগে এতদেশ যে অন্ধকার হইয়াছে তাহা কে না স্বীকার করিবেন, এমত মহাত্মার জীবন বৃত্তাস্ত না লিখিয়া কোন মতে শোক নিবারণ করিতে পারিলাম না, তেঁহ স্মৃতিশাস্ত্র ও শব্দশাস্ত্র ও জ্যোতিষ বিদ্যায় মহাবিশারদ ছিলেন এবং অনেক ছাত্রগণ র্তাহার নিকটে অধ্যয়ন করণানস্তর অধুনা অধ্যাপনা করিতেছেন, ইদানীং ঐ মহামহোপাধ্যায়ের চক্ষুস্তেজ রহিতহওয়াতেও যেসকল ব্যক্তিরা র্তাহার নিকটে ব্যবস্থা গ্রহণার্থে আগমন করিত গ্রন্থ অবলোকন ব্যতীত অমনিই ব্যবস্থা দায়ক হইতেন, শাস্ত্র ষেন মুখাগ্রে ও এমত স্মারকতাশক্তি ছিল অনায়াসে কহিতেন অমুক ব্যবস্থা এত সংখ্যক পৃষ্ঠায় লিখিত আছে তাহার কিছু মাত্র ব্যত্যয় হইত না, পীড়িত হইয়াও ব্যবস্থা দিয়াছেন, এক দিবসের নিমিত্তে অজ্ঞান হয়েন নাই, চরম দিনে আপনার অন্তর্জল আপনি করিতে কহিয়া জ্ঞান পূর্বক দেহ ত্যাগ করিয়াছেন,...ইতি তাং ২১ জ্যৈষ্ঠ । উলা নিবাসি জন গণনাং ।” - পৃ. ৫৫১—প্রেমচন্দ্র তর্কবাগীশ প্রেমচন্দ্র তর্কবাগীশ সম্বন্ধে আমি সাহিতা-পরিষৎ-পত্রিকা’য় ( ৪৭শ বর্ষ, পৃ. ৭-১৩, ১৬৫ ) বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করিয়াছি। y: