পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ২৮S বৎসরবয়স্ক পুত্র সেই গর্ভে তিন বার মুভিকা দিল পরে অন্য লোকে মৃত্তিক দিয়া ডুবাইল পরে সেই বালক পিতৃমাতৃ বিয়োগে কাতর না হইয়া কুটুম্বেরদিগের সহিত ঐ সাহেবেরদিগের নিকট আসিয়া আপন বিবরণ কহিল ও কুটুম্বেরদিগের পরিচয় দিল । পূৰ্ব্বে চন্দন নগরের নিকটে এমত একটা হইয়াছিল তখন জানিয়াছিলাম দৈবাৎ একটা হইল আর এমত হবে না কিন্তু এখন অন্তও দেখা যায় । ( ২৭ মার্চ ১৮১৯ । ১৫ চৈত্র ১২২৫ ) সহমরণ –শহর কলিকাতায় এক ব্রাহ্মণ মরিয়াছেন অল্পবয়স্ক তাহার স্ত্রী সহগমন করিয়াছে আমরা শুনিয়াছি যে দুই দিনপৰ্য্যস্ত আপন মৃত স্বামীকে রাখিয়া তৃতীয় দিন সহগমন করিয়াছে এত বিলম্বে সহগমন করিতে পূৰ্ব্বে শুনি নাই। তাহার কারণ এই স্ত্রীর বয়স বিবেচনা করাতে এত কাল বিলম্ব হইল। কথক বৎসর হইল শ্ৰীশ্ৰীযুত নানাদেশীয় মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতেরদের নিকটে হিন্দুশাস্ত্রান্তসারে সহগমন বিষয়ে যথার্থ ব্যবস্থ৷ লইয়া আজ্ঞা দিয়াছেন যে ষোড়শবর্ষনুন বয়স্ক কিম্বা গর্ভবতী কিম্ব যাহার অতিশিশু বালক থাকে সে স্ত্রী সহগমন করিতে পাইবেক না । এবং হিন্দুশাস্ত্রে ইহাও কহে ষে সহমরণাদিরূপ কৰ্ম্মে নিৰ্ব্বাণ মুক্তি হইতে পারে না কিন্তু মুখ ভোগমাত্র হয়। অতএব হিন্দুশাস্ত্রের মতে নিৰ্ব্বাণসাধন কৰ্ম্মেরি প্রশংসা করিয়াছেন । অধিক সহমরণ বাঙ্গাল দেশে হয় পশ্চিম দেশে তাহার চতুর্থাংশও হয় না এবং বাঙ্গালার মধ্যে ও কলিকাতার কোট আপীলের অধীন জিলাতে অধিক হয় আরো হিন্দুস্থানে যত সহমরণ হয় তাহার সাত অংশের একাংশ কেবল জিলা হুগলিতে হয় । ( ৫ জুন ১৮১৯ । ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১২২৬ ) সহমরণ –তৃতীয় সন জেলা হুগলিতে এক শত বার স্ত্রী সহগামিনী হইয়াছে গত বৎসর ঐ জেলাতে দুই শত স্ত্রী সহগামিনী হইয়াছে কিন্তু গত বৎসর যে এত অধিক হইয়াছে ইহার কারণ কিছু নিশ্চয় হয় নাই। অন্য২ জেলাহইতে জেলা হুগলিতে অধিক সহগমন নিত্য হয় । পশ্চিম হিন্দুস্থানে সহমরণ বাঙ্গালা হইতে অতি নুন এবং সেখানে এমন গ্রাম আছে যে সেখানকার লোকেরা কেবল সহমরণের নামমাত্র শুনিয়াছে কিন্তু কখন চক্ষে দেখে নাই । সেখানে সহমরণ হইলে পর চিহ্নার্থে গঙ্গাতীরে একটা মঞ্চ গাথিয়া রাখে কিন্তু রাজপুভেরদের নিত্য সহগমন হয় গত বৎসর তদেশীয় এক জন রাজা মরিলেন এবং তাহার সহিত র্তাহার তেত্রিশ স্ত্রী পুড়িয়া মরিল। tడ్వి