ধৰ্ম্ম N9o:S অন্তরে কুম্ভরাশিতে গমন করেন সেই যাত্রাতে হিন্দুস্থানের অনেক লোক সেখানে একত্র হয় অনুমান হয় যে দশ লক্ষ লোকের অধিক লোক সেখানে জমা হইয় থাকে কিন্তু ১৮০৮ সালের যাত্রার মত যদি লোক সমাগম হয় তবে নিঃসন্দেহ আমরা বুঝিতে পারি যে সেখানে বিশ লক্ষ লোক এইবার জমা হইবেক । এইবার যে এত লোক হইবে তাহার কারণ এই যে শ্ৰীশ্ৰধুত বড় সাহেব সিংহলদ্বীপ হইতে কাশ্মীরের পর্বতপৰ্য্যস্ত এবং সিন্ধু নদীর তীরহইতে চীন দেশপৰ্য্যন্ত তাবৎ দস্থ্য প্রভৃতির ভয় দূর করিয়াছেন তাহাতে বোধ হয় যে যাহারা অন্য২ বৎসরে আইসে নাই তাহার। অবশু এই বৎসর আসিবে । এই যাত্রাতে দুই প্রয়োজনের নিমিত্ত লোকেরা যায় প্রথম বাণিজ্যদ্বারা ধন লাভ দ্বিতীয় তীর্থ দৰ্শন । তাহার মধ্যে অধিক লোক বাণিজ্যের জন্যে অনেক দূর দেশহইতে আইসে। গত যাত্রাতে উত্তর দিকস্থ রুষিয়া দেশহইতে মহাজনেরা আসিয়াছিল ও চীন ও ভাতার দেশের মহাজনের হিমালয় পৰ্ব্বত দিয়া চ প্রভৃতি বিক্রয় করিবার নিমিত্তে আসিয়াছিল অধিক কি লিখিব এমন কোন দ্রব্য নাই যে সেই যাত্রাতে বিক্রয় না হয় যেহেতুক ঐ স্থান আসিয়ার মধ্যবৰ্ত্তি সেখানে হাজার দেড় হাজার মহাজনেরা সকল দেশহইতে আসিয়া মহাবাজারের মত দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করে । ( ২৪ জুলাই ১৮১৯ | ১৬ প্রাবণ ১২২৬ ) কাশীর প্রাচীন কথা । —কাশী নগরে অনুমান আট লক্ষ লোক আছে । দশ বৎসর হইল কাশীতে হিন্দু ও মুসলমানের বড় বিরোধ হইয়াছিল মুসলমানের হিন্দুরদের দেবালয়ে গোহতা করিল তাহাতে হিন্দুরা কোপাবিষ্ট হইয়া মুসলমানেরদের এক প্রধান মসজিদ ইদগা সেখানে এক শূকরকে মারিয়া ফেলিল তাহারদের মিম্বর ভাঙ্গিয়া ফেলিল ও তাহারদের কোরাণ ছিড়িয়া আপন২ পায়ের নীচে রাখিল । মুসলমানেরা ইহাতে আরো ক্রুদ্ধ হইয়া হিন্দুবদের প্রধান মন্দির ভাঙ্গিয় ফেলিল ও কালভৈরবের জাত। ভাঙ্গিয়া ফেলিল ও পুনৰ্ব্বার সেখানে অার একটা গোহত্যা করিল ও তাহার রক্ত সৰ্ব্বত্র ছিটাইল ও সে মৃত গো এক পবিত্র পুষ্করিণীতে ফেলিল। পরে হিন্দুরা অত্যস্ত ক্রুদ্ধ হইয় আপনারদের শক্তিপৰ্য্যস্ত মুসলমানের দিগকে মারিল তাহাতে ইংল্পওীয় সেনাপতির অন্য কোন উপায় না দেখিয়া আপনারদের সৈন্তদ্বারা উভয় পক্ষে বিরোধ নিম্পত্তি করিয়া দিলেন । ( ৩০ নবেম্বর ১৮২২ । ১৬ অগ্রহায়ণ ১২২৯ ) কাশী ॥—জেমস প্রিন্সেপ সাহেবকৃত কাশী বিবরণে জ্ঞাত হওয়া গেল যে আট শত বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ কাশী এক পল্লীগ্রাম ছিল ক্রমে২ ইষ্টক ও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত গৃহ হইতেই এখন নানাবিধ অট্টালিকাময়ী হইয়াছে। পারসীয় বিবরণকৰ্ত্তারদের গ্রন্থে বোধ হয় যে গজমেনের সোলতান মহমুদের ভারতবর্ষ আক্রমণ কালে ঐ কাশী বানার নামে এক রাজার অধিকারে