পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় 霉8° এই পাঠশাল যে দিবস হইয়াছে তাহার নিশ্চিত প্রমাণ সেই স্থানেই পাইবেন, আমরা গবাক্ষে বসিয়া রাজবাটীর কথোপকথন শুনিতে পাই, চন্দ্রিক। সম্পাদক রাজবাট হইতে দেড় ক্রোশ ব্যবধানে থাকেন ইহাতেও আমারদিগের কথা মিথ্যা করিতে চাহেন এ তাহার ভারি সাহসের কৰ্ম্ম, রাজা রাধাকান্ত বাহাদুর কি পূৰ্ব্বে র্তাহার বাটতে পাঠশালা করিয়া বালিকাগণকে শিক্ষা প্রদান করেন নাই, এবং তৎপরে কয়েক বৎসর হইল কোন বিশেষ কারণে কি তাহার বাটার বালিকা পাঠশালা বন্ধ ছিল না, এইক্ষণে রাজা বাহাদুর পুনৰ্ব্বার স্ত্রীশিক্ষার পাঠশালা করিয়াছেন, প্রতিবাসিগণের বালিকারাও রাজবাটীতে আসিয়া শিক্ষা গ্রহণ করিতেছে, এ সমাচার প্রচার করণে দোষ কি, বরং আহলাদের বিষয় তজ্জন্তই আমরা প্রকাশ করিয়াছিলাম,...। পিতার স্তায় রাধাকান্ত দেবও চতুষ্পাঠীস্থাপন, ব্রাহ্মণপণ্ডিত-প্রতিপালন প্রভৃতি সংকৰ্ম্মস্বারা দেশে সংস্কৃত-চর্চার পথ সুগম করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭ তারিখের ‘সমাচার চন্দ্রিকা’য় রাধাকান্ত কর্তৃক একটি চতুষ্পাঠী স্থাপনের সংবাদ প্রকাশিত হয় । সংবাদটি এইরূপ — * নূতন সংস্কৃত কালেজ —আমরা অসীম আনন্দ সলিলে অবগাহনপূর্বক প্রকাশ করিতেছি অত্র নগরীয় অদ্বিতীয় মান্তাগ্রগণ্য সুধীর পণ্ডিত মণ্ডলী উজ্জল নৃপবর শ্ৰীমন্মহারাজ রাধাকাস্ত বাহাদুর সম্প্রতি অভিনব সংস্কৃত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। আপাততঃ উক্ত বিদ্যালয় রাজবাটার দক্ষিণাংশ দরজীটোলার গুরুপ্রসাদ মৈন্ত্রীর বাটীতে প্রতিষ্ঠা হইয়াছে পণ্ডিতবর শ্রীযুক্ত গোবিন্দচন্দ্র তর্কপঞ্চানন তথা শ্ৰীযুক্ত আনন্দচন্দ্র শিরোমণি স্ত্রীযুক্ত কালীকমল তর্কপঞ্চানন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়গণ অধ্যাপক নিযুক্ত হইয়াছেন বেলা ১০ ঘণ্টাবধি দুই প্রহর চারি ঘণ্টা পৰ্য্যস্ত পাঠের কাল নির্ণীত হইয়াছে ১২ বারো জন বিদেশীয় ছাত্র অধ্যয়ন করিত্ৰে ছেন । ঐ অভিনব কলেজে আপাতত: ব্যাকরণ, অলঙ্কার, গণ, ভট্টীকুমার, কাব্যাদি শব্দশাস্ত্র এবং নব্য প্রাচীন স্মৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যাপনা হইতেছে কিন্তু অধ্যাপকদিগের কথাই নাই, ঐ সকল বিদেশীয় ছাত্ৰগণেরাও রাজসংসার হইতে আহারীয় নগদ বৃত্তি পাইতেছেন...। ১৮৩৭ সনের জুলাই মাসে রাধাকান্ত সরকারের নিকট হইতে রাজা বাহাদুর’ উপাধি লাভ করেন । ১৮৫১ সনে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হইলে তিনিই তাহার প্রথম সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন । ১৮৬৬ সনে বাঙালীদের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম কে. সি. এস. আই. হন । ১৮৬৭ সনের ১৯এ এপ্রিল বৃন্দাবনে তঁাহার মৃত্যু হয় । পৃ. ৬৬—“শব্দসিন্ধু । এই অভিধানখানি ১৮১৮ সনে প্রকাশিত হয়। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ গ্রন্থগারে ইহার দুই খণ্ড আছে । অভিধানখানির আখ্যাপত্র এইরূপ — ভগবান অমর সিংহ ] কৃত । অভিধান অকারাদি ক্ৰমে । ভাষায় । বিবরণ করিয়া শব্দসিন্ধু ! নাম । রাখিয়া কলিকাতায় ছাপা ! হইল । সন ১২২৫ । ] গ্রন্থের ভূমিক-শেষে গ্রন্থসমাপ্তির তারিখ ( ১৭৪• শক – ১৮১৮ সন ) এই ভাবে লিখিত হইয়াছে— গগণ গণেশ ভূজ গন্ধৰ্ব্ব ভূমিতে । গ্রন্থ সমাপ্তির শাক জানিবা পণ্ডিতে । তৎসং । পৃ. ৬৬, ৯৬—গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য। গঙ্গাকিশোর-রচিত বাংলা ভাষায় এই ইংরেজী ব্যাকরণ ১৮১৬ সনে প্রকাশিত হয় । অনেকে