পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষণ リ● ধৰ্ম্মশাস্ত্র মৰ্ম্ম পীড়া প্রাপ্ত এত দিনে । অগণিত স্থিতি চিন্ত গণিতের মনে ॥ মীমাংসা করিতে নারে মীমাংসা ভাবিয়া অসংখ্য সাংখ্যের দুঃখ স্থান না পাইয়া কর্কশ স্বভাব তর্ক তৰ্কিয়াছে ভাল । অন্তের আশ্রয়ে বরং কাটাইব কাল । মনে খেদ করে বেদ হইল হতাশ । গৌড়ভূমি পরিহরি করে কাশী বাস ॥ ( ১২ ডিসেম্বর ১৮১৮ । ২৮ অগ্রহায়ণ ১২২৫ ) মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় —গুপ্তপাড়ানিবাসী বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য মোং কৃষ্ণনগরে রাজবাটীতে নিমন্ত্রণে গিয়াছিলেন তথাকার এই ধারা ছিল যে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা নিমন্ত্রণে আসিতেন তাহারা গমনকালে নিমন্ত্রণের বিদায়ি টাকা ও গাড়ু ও শালপ্রভৃতি ও যাইবার কারণ নৌকাও পাইতেন তাহাতে এক সময় বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার বিদায়ি পাইতে বিলম্ব হইলে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নিকটে সঙ্কেত দ্বারা এই কহিয়া পাঠাইলেন যে মহারাজ আমি বিদায়ি পাইলেও যাই না পাইলেও যাই । মহারাজও তাহার সদুত্তর করিলেন যে ভট্টাচাৰ্য্যকে কহ যে বিদায়ি না দেওয়া যাইতেছে। ইহাতে ঐ বিদ্যালঙ্কার রাজার উপযুক্ত উত্তর শুনিয়া ও আপনার ইষ্টসিদ্ধি হওয়াতে পরম হৃষ্ট হইলেন ও ক্ষণেক পরে তাহার বিদায়ি টাকা ও ঘড়া ও শালপ্রভৃতি ও আরোহণার্থ নৌকা পাইয় আপন বাটীতে আইলেন । ( ১২ ডিসেম্বর ১৮১৮ । ২৮ অগ্রহায়ণ ১২২৫ ) শ্ৰীযুত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার —সুপ্রীমকোর্টের পত্তিত শ্ৰীযুত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য শ্ৰীযুত বিচারক সাহেবেরদের নিকটে চারি মাসের বিদায় লইয়া কাশী তীর্থ দর্শনার্থ যাত্রী করিয়াছেন । - ( ১৯ জুন ১৮১৯ । ৬ আষাঢ় ১২২৬ ) মরণ —মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য নানা শাস্ত্রীয় বিদ্যোপার্জন করিয়াছিলেন ও উপার্জনানুসারে বিদ্য বিতরণ করিয়াছেন এবং মোং কলিকাতায় কোম্পানির কলেজের আরম্ভাবধি তাহার প্রধান পাণ্ডিত্য কৰ্ম্ম পাইয়া অনেক২ বিশিষ্ট সস্তানেরদের অনৌপাধিক উপকার করত বহুকাল ক্ষেপ করিয়াছিলেন এবং দুই তিন বৎসর হইল কলেজের পাণ্ডিত্য কৰ্ম্মেতে স্বসদৃশ পুত্রকে অভিষিক্ত করিয়া আপনি স্থপ্রীমকোর্টের পাণ্ডিত্য কৰ্ম্ম করিতেছিলেন পরে আট মাস হইল সুপ্রীমকোটের সাহেবেরদের নিকট বিদায় হইয় তীর্থদর্শনার্থ গিয়া কাশী