পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য SలS না হওয়াপ্রযুক্ত তাহার টাইটল পেজ অর্থাৎ ভূমিকাব্যতিরেকে প্রকাশ হইয়াছে । অল্পমান হয় যে এই প্রযুক্ত বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষের ভ্রম হইয়াছে। অপর তিনি বাঙ্গলা পদ্যগ্রন্থের বিষয়ে প্রস্তাব করেন যে তিন শত বৎসর হইল কৃত্তিবাসনামক এক পণ্ডিত ব্রাহ্মণ বাঙ্গল পদ্যরচনায় রামায়ণ প্রকাশ করেন ও এতদেশীয় পদ্যরচকের মধ্যে প্রথম তিনিই প্রসিদ্ধ। বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ কহেন যে তাহার রামায়ণ অপভাষায় পরিপূর্ণ কিন্তু ঐ রামায়ণের প্রকাশ কালে ইহা হইতে উত্তমরূপ পদ্যরচনা করিতে কেহ সমর্থ ছিলেন না। বাঙ্গল কাব্যে পুস্তকের মধ্যে কৃত্তিবাসের ঐ গ্রন্থ সকলের গ্রাহ বিশেষত: মধ্যম লোক এবং দোকানদার লোকের মধ্যে । তাহারদের দিবসের কার্য সমাপ্ত হইলে তাহারা মণ্ডলাকারে বসিয়া ঐ রামায়ণের কোন এক অংশ পাঠ করে। বঙ্গদেশ মধ্যে এমত কোন দোকানদার নাই যে তাহারদের স্থানে ঐ কবিকৃত BBBBB BB BB BBB BS KBB BBS BBB BB BB BBS BBBB BBB BBB দোষ বরং লিপিকরের কিন্তু গ্ৰন্থরচকের নহে এমত বোধ হয় । সেই গ্রন্থ গত তিন শত বৎসরের মধ্যে কোন পণ্ডিতকতৃক সংশোধিত না হইয়া বারম্বার নকল হইয়াছে অতএব মুখেরা আপন২ ইচ্ছানুসারে নানা প্রকার তাহাতে ভাষার অন্তথা করিয়াছে এমত বোধ করা অসম্ভব নহে। কিন্তু ঐ তরজমা অতিরসাল এবং তাহার যদি অপভাষা সকল বহিষ্কৃত হয় তবে ঐ পুস্তক অতি গ্রাহ হয়। অতিশয় খ্যাতাপন্ন এক স্থপণ্ডিতকতৃক সংশোধন পূর্বক সংপ্রতি শ্রীরামপুরের যন্ত্রালয়ে তাহার প্রথম কাণ্ড দ্বিতীয় বার প্রকাশিত হইয়াছে। - তাহার পর পদ্যরচকের মধ্যে কাশীদাসনামক এক শূদ্র পদ্যরচক হইল এবং তিনি মহাভারতের কৃএক পৰ্ব্ব বাঙ্গল ভাষায় পদ্যেতে রচনা করিয়া পাণ্ডববিজয় নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন । তাহার পর কবিকঙ্কণ উপাধিতে খ্যাত গোবিন্দানন্দনামক এক ব্রাহ্মণ ঐ রূপ চওঁীর স্তবাদি বিস্তারকরণপূর্বক চণ্ডীনামে গ্রন্থ প্রকাশ করেন । কিন্তু এই দুই পুস্তকও অপভাষা রহিত নহে। চণ্ডীর প্রশংসা ঘটিত । অন্নদামঙ্গলনামক এক গ্রন্থ ভারতচন্দ্র নামে ব্রাহ্মণকতৃক ঐরূপ রচিত হইয়া প্রকাশিত হইয়াছিল তিনি ঐ কবিকঙ্কণের সমকালীন ব্যক্তি এবং উভয়ই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রসাদলন্ধ ছিলেন । ঐ রাজা মহারাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য খ্যাতির আকাজক্ষী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়কর্তৃক রচিত পূৰ্ব্বোক্ত রাজার চরিত্র শ্রীরামপুরে তিন বার মুদ্রিত হয় তদ্বিষয়ে বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ কিছু কহেন নাই। পণ্ডিত লোকেরদের সমাগমেতে তৎকালীন বঙ্গদেশের মধ্যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভা অদ্বিতীয়রূপে স্থশোভিত ছিল ঐ পণ্ডিতেরদিগকে তিনি অনেক ২ ভূমি বৃত্তিদান করিলেন এবং আদ্যপৰ্য্যস্ত র্তাহারদের সন্তানের ঐ বৃত্তি ভোগ করিতেছেন কিন্তু তাহার বংশের রাজকীয় অধিকার দুই তিন শত ধনবান লোকের মধ্যে থও২ হইয়। গিয়াছে। উহার সভার ভীড় অন্য২ ভীড়ের ন্যায় পাণ্ডিত্য ও রসিকতা বিষয়ে অতিশয় শ্রেষ্ঠ ছিল তাহার অনেক২