পাতা:সংস্কৃত সাহিত্যের কথা - নিত্যানন্দ বিনোদ গোস্বামী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাণ ইতিহাস se আজকালকার পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন যে পুরাণে এমন অনেক কথা আছে যা ঐতিহাসিক আর কতক আৰ্য-পূর্ব জাতির। T o পুরাণ সম্বন্ধে এখনো ভালো করে বৈজ্ঞানিকভাবে আলোচনা হয়নি তৰু যতটা এদেশী আর বিদেশী পণ্ডিতেরা আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই মত যে পুরাণের মধ্যে প্রামাণিক ঐতিহাসিক উপাদান যথেষ্ট রয়েছে। আর এটা প্রায় স্থির যে ৫০০ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে অনেক পুরাণ পূর্ণতা লাভ করে কিন্তু পরে তাতে অনেক বিষয় লিখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছ—মায় কুইন্‌ ভিক্টোরিয়ার ইঙ্গিত পর্যন্ত । পুরাণে ভারতীয় দর্শন, ধর্মমত, আচার, বিচার সাধনার কথাতে ভরা। কাজেই সেদিক দিয়ে এর মূল্য কম নয়। জৈনরা অনেক পুরাণ লিখেছেন ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় । বায়ুপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ আর শ্ৰীমদভাগবত সবচেয়ে প্রধান। ভাগবতের ওপর বহুতর টীকাটপ্পনি নিবন্ধ লেখা হয়েছে। সমস্ত পুরাণই ব্যাসের নামে রচিত। ব্যাস বলতে অবত অনেককে বোঝাতে পারে। তার মধ্যে কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসই সর্বশ্রেষ্ঠ । পুরাণ সম্বন্ধে একটা বিষয় ভাববার আছে। স্ত্রীলোক শূদ্র আর আচারহীন ব্রাহ্মণের বেদে অধিকার নেই। তাই তাদের শাস্ত্র কথা জানাবার জন্যে পুরাণের পথ খোলা হয়েছে। পুরাণের বক্তারাও স্থতজাতীয়। আজকাল গণশিক্ষা বলতে যে অর্থ আমরা বুঝি, সেই গণশিক্ষা এই পুরাণের দ্বারাই তখনো চলত এখনো চলে আসছে। পুরাণের গল্পে অতিলৌকিক, অসম্ভব সব কথা আছে। অশিক্ষিত মানুষ সবদেশেই অলৌকিক কথায় আকৃষ্ট হয়। লোক আকর্ষণের জন্তই ঐসব কথা । সেগুলিকে নিছক সত্যি বলে মানতে কুমারিল ভট্ট নিষেধ করে বলেছেন গল্পগুলির তাৎপর্য গ্রহণ করবে, ঘটনাকে নয় । । এই পুরাণ শেষে এত জনপ্রিয় হয়ে পড়ল তাতে বেদচর্চ ঢেকে দিল