পাতা:সচিত্র কবিকঙ্কণ চণ্ডী - মুকুন্দরাম চক্রবর্ত্তী.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভূমিকা


কবিজীবনী, কাব্যপরিচয় ইত্যাদি

 হিন্দুর গেীরব-সূর্য্য অস্তমিত হইলে ইসলাযধন্থের অর্ধচন্দ্র চিহ্নিত পতাকা ভারত-গগনে শোভমান হইল। বছদিনেব শাস্তিষুপ্ত হিন্দু মোসলমানের রতণ্ডবে ভীত হইয়া পড়িল। এক দিকে সংসার বৈরাগ্য অপরদিকে জীবনেব অবসাদ উভয়ে মিলিয়া হিৰকে থেন কোন কাৰ-সমুদ্রের দিকে লইয়া যাইতে লাগিল। মোসলমানেরা হিন্মদিগকে ‘কাফের’ অর্থাৎ বিধাঁ মনে করিয়া তাহাদের প্রতি প্রবল অত্যাচার আরম্ভ করিয়া দিল। এইরূপে বিভেদের ভিত্তিতে এবং অত্যাচারের দ্বারা ক্রমশঃই নব্য-উদীয়মান। যোসলমান-ধর্মের বিস্তৃতি ঘটতে লাগিল। বিরোধে — সত্যাগারে যাঁহার প্রতিষ্ঠা তাহাতে কথনই মঙ্গলফল প্রকৃত হইতে পারে না। ভাবতেৰ পূর্ব্বতন ইতিগাস সোসলমান রাজত্বের এই কলঙ্ক কালিমা বক্ষে ধারণ। কৰিয়া তাহার সাক্ষা প্রদান করিতেছে। গেধীনে বহেশক্তি প্রঙ্গাশক্তি হইতে অধিকতর বগশালী তথায় বাজার ভাষা প্রজাব ভাষার মধ্যে প্রবেশাধিকাব লাভ করে ইং পরীক্ষিত সত্য। পূর্ব্বকালে মোসলমান প্রভাবে হিন্দুর সৌভাগাববি যে কে মন নিপ্রভ হইতেছিল, তাৎকালিক হিস্সাহিত্য তাহা সযত্নে বক্ষে ধারণ। করিষা রহিয়াছে। ইহারই ফলে তৎকালে হিন্দুসাহিতাভিধানে বহুল ঘাবনিক শব্দ অসুপ্রবিষ্ট হইয়াছে। উখুন বৃটিশ অধিকারেও হিস্সাহিত্য নব নব শব্দ-গণকে গেীরবাতি হইতেছে। ইহা হইতেও অঘূমিত হয় যে, তৎকালে মোসলমান-প্রভাব হিসূয় উপৰ কতটা আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিল।


এইরূপ অত্যাচারের ফলে ও হিন্দুমণর প্রতি মোগলবাদসাহগণের অনুরাগের আধিক্যে হিন্দু মোসলমানের মধ্যে বৈবাহিকতা সম্বন্ধও চলিতে লাগিল। মোগলকুলতিলক আকবরও এইরূপে এক হিনু: মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। সেই হিন্দুস্তার গর্ভে তাহার জাহাঙ্গীর নামে এক পুত্র জন্মে। তিনি যেসময়ে দিল্ডশ্বর তখন:তদীয় তালক যাঁনসিংহ রাজমহলে সুবাদারী করিতেছিলেন। জাহাঙ্গীর দিল্লীশ্বর হইয়া প্রথম প্রথম বিলাসের ঘোতে গ ভাসাইয় দিলেন। কথায় বলে, ‘অলস মস্তিক সয়তানের কারখানা। সেই বাসনাসক্ত দিল্লীশ্বরের শেনদৃষ্টি দিঠীর সিংহাসনের গৌরব ভুলিয়া বর্ধমানের শাসনকর্তা।

সের আফগানের কীয়দী ভার্য্যার উপর নিপতিত হইল। কৌশলী মানসিংহের চাতুর্য্যে দের আফগান নিহত হইল। সের আফগানের আলোক-সামানা রূপবতী বিধবা ভার্য্যা এখন সম্রাটের অন্ধশোভিনী হইলেন। দেশের এইরূপ বিভূষলা-রাজনৈতিক গগনে অত্যাচারের মেব উঠিলা। প্রজাকুলকে স6ত্ত ও বিধ্বস্ত করিয়া তুলিল। মানের শাসন-কর্তার পাদে মামুদ সরীফ নিযুক্ত হইলেন। তাহার অত্যাচারে বর্ধমানের প্রজাকুলও শন্ধিত হইয়। কালযাপন করিতে লাগিল। রাজা অত্যাচারী হইলে তাহার কর্মচারিগণও অত্যাচার করিতে ক্রট করেন না। কবিকঙ্কণ চণ্ডীর লেখক মুকৃপরামও এই ডিহিদারের উৎপীড়নে তাহার ‘সাতপুরুষের বসতি দামুন্তা ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়া ছিলেন। এই সম্বন্ধে তিনি তাহার কাব্যে যাহা লিখিয়াছেন, (— গ্রন্থোৎপত্তির কারণ) তাহা হইতে