ቖ ወ | ്.ണ്ണ് চেতন পাইয়া বলে গাধির নন্দন (১) । তাড়কা মারিলা বাছা কৌশল্যা-জীবন। শ্রীরাম বলেন, গুরু, কি শক্তি আমার । তাড়কারে বধিলাম প্রসাদে তোমার | মুনি বলিলেন, শুন রাম নারায়ণ । চল চল দেখি গিয়া তাড়কা কেমন | তাড়কা দেখিতে মুনি ততক্ষণে যায়। এক পদ যায়, আর দু-পদ পিছায় ৷ তাড়কা দেখিতে পুনঃ করেন পয়াণ। মরেছে তাড়কা, তবু মুনি কম্পমান। তাড়কারে দেখিয়া ভাবেন মুনি মনে । এমন লিকট-মূৰ্ত্তি না দেখি নয়নে ॥ কুক্তিপাস পণ্ডিতের কপি ; আতিশয় । প্রথম যুদ্ধেতে হৈল শ্রীরামের জয় ॥ অহল্য-উদ্ধার । তাড়কা মারিয়া রাম রাজীব-লোচন (২) । পবনের জন্মভূমি করেন গমন। বিশ্বামিত্ৰ কহে, শুন শ্রীরাম-লক্ষণ । এইখানে হৈল উনপঞ্চাশ পলন। পবনের জন্মভূমি পশ্চাৎ করিয়া। অহল্যার তপোলনে গেলেন চলিয়া | মুনি বলিলেন, রাম, কমল-লোচন। পাষাণ-উপরে পদ করহ অপণ ৷ শুনিয়া বলেন রাম মুনির বচনে । পাষণেতে পদ দিব কিসের কারণে ৷ মুনি বলিলেন, শুন পুরাতন কথা। সহস্ৰ সুন্দরী স্থা করিলেন ধাগ। [ আদিকাও সজিলেন তাসবার রূপেতে অহল্যা । ত্ৰিভুবনে সুন্দরী না ছিল তার তুল্য। করিলেন অহল্যাকে বিবাহ গৌতম । গৌতমের শিষ্য ইন্দ্র অতি প্রিয়তম। একদিন গৌতম গেলেন তপস্তায় । গৌতমের বেশে ইন্দ্র প্রবেশে তথায় ॥ অহল্যা গৌতম-জ্ঞানে করে সম্ভাষণ। আজি প্রাতে কেন প্রভু, ঘরে আগমন। ছদ্মবেশী (৩) ইন্দ্র তবে বলিল তখন। কেমনে করিব বল তপস্যাচরণ | বাসনা-অনলে দগ্ধ হয় মম হিয়া । জুড়াও তাপিত প্রাণ শাস্তি-বারি দিয়া | পতিব্ৰতা নাহি লঙ্ঘে পতির বচন । আলাপে সন্তাষে তার তুষ্ট কৈল মন ৷ মন্দমতি বাসবের অশিষ্ট আচার। অজ্ঞাত রহিল ইহা দেবী অহল্যার | তপস্ত করিয়া মুনি আইলেন ঘরে। অহল্যা তা{সন দিল অতি সমাদরে । গৌতম বলেন, প্রিয়ে জিজ্ঞাসি তোমায়। অবসাদ এত কেন তোমার শরীরে ৷ অহল্যা বলেন, প্রভূ নিবেদি তোমায়। প্রভাতের যত কথা ভুলিলে কি হায় ॥ এ কথা শুনিয়া মুনি হেঁট কৈল তুণ্ডে (৪) । আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে গৌতমের মুণ্ডে । জানিলেন ধ্যানেতে গৌতম মুনিবর। অনর্থ (৫) করিল এত আসি পুরন্দর। ‘ইন্দ্র ইন্দ্র’ বলিয়া ডাকেন মুনিবর। পুথি কাপে করিয়া আইল পুরন্দর। шанні ніі (১) গাধির নন্দন-বিশ্বামিত্র । (২) রাজীব-লোচন—পশ্নের মত সুন্দর "চক্ষু যাহার। (৩) ছদ্মবেণী-ৰে ছল করিয়া অন্ত রূপ পরিচ্ছদ ধারণ করে। (৪) তুণ্ডে-মুখকে। (৫) অনর্থ-অনিষ্ট।