কহিলি যে ভাল মন্দ অনেক কাহিনী । পশ্চাতে বুঝিব সব বৈরী আগে জিনি। কুম্ভকৰ্ণ বলে, ভাই, না বল বিস্তর। বিপৎ সময়ে নীতি কহে সহোদর। আমি হেন ভাই তব, কারে করে শঙ্কা । বৈরী মারি রাখিব কনকপুরী লঙ্কা ॥ শ্রীরামের মাথা কাটি আনিব এখনি । সীতা লয়ে সুখভোগ করহ আপনি ॥ আগে লঙ্কা অ-রামা ও অ-বানরা করি । সুগ্ৰীবেরে মারিয়া পাঠাব যম-পুরী ॥ বধিল কুমুদ আদি যত কপিগণ । মরিব তোমার বৈরী ভাই বিভীষণ ॥ হনুমানে মারি আঙ্গি লঙ্কাপুরী-বৈরী। মরিব তাহার পরে বানর কেশরী ॥
- ·
কুম্ভকর্ণের যুদ্ধ চলিল সে কুম্ভকৰ্ণ যুঝিবার সাধে। ভাই মহোদর গিয়া সম্মুখে বিরোধে ॥ মহোদর বলে, ভাই, করি নিবেদন । বহুদিন নিদ্রাগত ছিলে অচেতন ॥ দেখিতে করয়ে সাধ পুরবাসী নারী । একবার দেখা দিতে চল অন্তঃপুরী ॥ কুম্ভকৰ্ণ বলে, কি কহি মহোদর। সম্মুখে বিপক্ষ বসে যমের দোসর ॥ চারি দ্বারে মেরে আগে জিনে আসি রণ । তবে অন্তঃপুরে হবে আমার গমন ॥ । মহোদর-কুম্ভকৰ্ণ কথা দুই জনে । সিংহাসন ছাড়ি ভৰে উঠিল রাবণে ॥ শতকোটি বানরে পলায় শতবলী । [ णकांक९ সংগ্রামের সাজ রাজা সাজায় আপনি । মতির পাগড়ি পরে থরে ধরে মণি ॥ কুম্ভকৰ্ণ সাজিছে, রাক্ষস পুলকিত । চারিদিকে নিশাচর সাজয়ে ত্বরিত ৷ কুমারের চাক যেন মাণিক-অঙ্গুরী। কুম্ভকর্ণের অঙ্গুলে পরায় যত্ন করি ॥ কতমত যতনে পরায় তোড়-তাড় (১) । মাথার মুকুট যেন মৈনাক পাহাড় ॥ স্থানে স্থানে মরকত শোভা কত তার। গলায় তুলিয়া দিল মণিময় হার ॥ রত্বেতে নিৰ্ম্মিত দিল শ্রবণে কুণ্ডল । রবি শশী জিনি জ্যোতিঃ করে ঝলমল । মুকুটের চূড়া গিয়া আকাশেতে জোড়ে। রাজারে প্রণাম করি যুঝিবারে নড়ে। যুঝিবারে কুম্ভকৰ্ণ চলে একেশ্বর। গগনে মস্তক যেন নব জলধর II আকাশের চন্দ্র খসে, বায়ু মন্দগতি। মেঘে রক্ত বরিষয়ে, কাপে বসুমতী ॥ আকাশে অমর কাপে, সাগর উথলে । গড়ের বাহির হয়ে যুঝিবারে চলে । কুম্ভকৰ্ণ হৈল যদি গড়ের বাহির । বানর দেখিয়া করে গর্জন গভীর। বড় বড় বানরের বড় বড় লম্ফ । কুম্ভকৰ্ণে দেখিয়া সবার হৈল কম্প ৷ ভয়ে শুকাইল মুখ, কঁাপিল অন্তর। গাছ পাথর ফেলাইয়া পলায় বানর। চুল নাহি বান্ধে কেহ, না পরে কাপড় । বড় বড় বানর উঠিয়া দিল রড় ॥ বানরের ভঙ্গ-রবে কর্ণেলাগি তালি । (*) cडाफ़-ठाफ़-कठेि-छून१ ७ रूद्र-कूदन । o o ليلة
