जइांक७ ॥ স্ত্রী-পুরুষে দোহে জন্মে এ স্থার সংসারে। স্ত্রী হইতে পুত্র হয়, বাড়ে পরিবারে । ইষ্ট বন্ধু কুটুম্ব ঘরের যত লোক । সবা হৈতে ভাই রে ভার্য্যার বড় শোক । দেশে দেশে পাই ভাই কামিনী অশেষ । গুণবতী স্ত্রী মরিলে মরণ-বিশেষ । স্ত্রী বিনা পুরুষ সুখী কোথাও না শুনি । স্ত্রীশোক এড়ায় যেই সে পরম জ্ঞানী । রাজ্যহীন পিতৃহীন হীরাইমু নারী। সে সব পাসরি, নারী পাসরিতে নারি। সীতা না দেখিলে আমি না পারি রহিতে । সীতার মরণে ক্ষমা দিব কিসে চিতে । হইলেন কান্দিয়া স্ত্রীরাম অচেতন । রামের ক্রন্দন শুনি এল বিভীষণ ॥ সকলেতে শোকাকুল দেখে উড়ে প্রাণ । বিভীষণ কহে বাৰ্ত্তা কহ হনুমান ॥ কেন রামের কোমলাঙ্গ ধূলায় ধূসর। কাতর হইয়া কেন কান্দিছে বানর | স্ত্রীরাম বলেন, শুন মিত্র বিভীষণ । সীতারে কেটেছে আজি রাবণ-নন্দন ॥ যত পরিশ্রম সব হল অকারণ। বৃথা কেন করিলাম সাগর-বন্ধন | विमाङ1 श्हेग्न 8वद्रो *ांठेtईश1दन । হারাইমু প্রাণের জানকী এতদিনে ॥ কাননে চলিয়া যেতো জানকী আমার । ফিরে চেয়ে দেখিতাম তিলে শতবার | ননীর পুত্তলী সীতা আঠপে মিলায়। চলে যেতে কুশাঙ্কুর ফোটে পায় পায় ॥ চম্পক-বরণী সীতা, রাজার ছুহিতে । স্বামী হ’য়ে সপিলাম রক্ষিসের হাতে ॥ ്.ണ്ണിസ്റ്റ് 80:0: মায়ামৃগ ধরিবারে কেন গেমু বনে । কারে বিলাইয়া দিমু সীতা হেন ধনে ॥ দুষ্ট ইন্দ্রজিৎ যবে কাটিল জানকী । না জানি কান্দিল কত সীতা শশিমুখী । সীতার বিহনে প্রাণ তষ্টি ব এখন । অযোধ্যায় ফিরে যাহ প্রাণের লক্ষণ ৷ বিভীষণ বলে, রাম, না কর ক্ৰন্দন । সীতারে কাটিতে দেখিয়াছে কোন জন ॥ রাম বলে, দেখিয়াছে পবন-নন্দন । বিভীষণ বলে, ইনু পশুতে গণন ॥ বনজন্তু বানর, সে বুদ্ধি নাই ঘটে । মহালক্ষী মা জানকী, কার সাধ্য কাটে । আর এক কথা কহি শুন পুখুমণি । পরম-সুন্দরী সীতা ভুবন-মোহিনী । রাবণ মজল লঙ্কা জানকীর ওরে। তবু সে তোমার সীতা না দিল তোমারে। সীতারে রেখেছে ল'য়ে অশোকের বনে । ইন্দ্রজিৎ সাধা কি যে সীতাদেবী আনে। দশহাজার কিঙ্করী সীতারে আছে ঘেরে । অন্য পুরুষেতে সেখা যাইতে কি পারে। সীতাদেবী রাবণের লেগেছে নয়নে । ইন্দ্রজিৎ হেন সীতা পাইলে কেমনে । মায়া-সীতা কাটি বেটা কৈল দুই খান । সে মায়াতে ভুলেছে বানর হনুমান । প্রত্যযু না কর যদি আমার কথায় । হনুমান গিয়া দেখে জালুক সাতায় । এতেক শুনিয়। তবে হৈয়। স্বরধিত । অশোকের বনে হনুমান উপনীত । দেখিল বসিয়া আছে রামের মহিষী ৷ রঘুনাথে সমাচার হনু দিল আসি ৷
