णकांकगं७] হনুমান বলে, কে স্বাক্ষস বিভীষণ। ঔষধ বাধিতে তুমি গেলে যে এখন ৷ বাহির হইয়া এলে কোন পথ দিয়া । তোমারে দেখিয়া মোর স্থির নহে ছিয়৷ বুৰিতে না পারি কি বা আছে তব মনে। রাবণের চর হয়ে অাছ রাম-স্থানে ৷ রাবণের চর হয়ে আস-যাও নিতি (১) । কপট করিয়া রাম সহ কৈলে মিতি (২) || মোর ঠাই আজি তোর নাহিক নিস্তার। লেজের বাড়িতে লব যমের কুয়ার ॥ উপাড়িয়া লঙ্কাপুরী ডুবাব সাগরে ৷ লঙ্কার বসতি পাঠাইব যম-পুরে। রাবণের দূত তুই রামের নিকটে। কি বলিস, তোর বাক্যে মম বুক ফাটে। বিভীষণ বলে, নাহি এসেছি কপটে । দিব্য করি হনুমান, তোমার নিকটে। গোবধে ও ব্রহ্মবধে যত পাপ হয়। যদি ছলে এসে থাকি, লইব নিশ্চয়। যত পাপ হয় ব্রহ্মবধে স্বরাপানে । আমার সে পাপ যদি খল (৩) থাকে মনে | হনুমান বলে, তোর দিব্য কিছু নয় । ব্ৰহ্মবধে গোবধে রাক্ষসে কোথা ভয় ॥ বিভীষণ বলে, তুমি বিচারে পণ্ডিত। বিচার না ক’রে কেন বল অনুচিত ॥ কেমনে বলহ মোরে রাবণের চর। যুক্তি দিয়া বধিলাম যত নিশাচর। ইন্দ্রজিৎ-যজ্ঞ-ভঙ্গ-সন্ধি কেবা জানে। যুক্তি দিয়া বধিলাম আপন সন্তানে । εήδ.5ήδ)yχΜίγα, ՅծՑ কত রূপ ছ'য়ে এল সে মীরাবণ । ভুলাতে না পেরে শেষে হৈল বিভীষণ ॥ হনুমান ৰলে, কথা শুনে লাগে ডৰ । মায়াতে কি মহী গেল গড়ের ভিতর ॥ णांtख इनृमांन चैौद्र कब्र cई मांथा । বিভীষণে ভৎসিলাম অনুচিত কথা ৷ পথ ছেড়ে দিয়ে আমি ঞ্চৈমু বিপরীত । বিভীষণে ভৎসিলাম, নহে ত উচিত। হনুমান বলে, কথা শুন বিভীষণ । আগে গিয়া দেখি চল শ্রীরাম-লক্ষণ ৷ মারুতির বাক্যেতে রাক্ষস বিভীষণ । প্রমাদ পড়িল, মনে জানিল তখন ৷ বিভীষণ বলে, শুন পবন-নন্দন । চল তবে দেখি গিয়া এঁরাম-লক্ষণ। দ্রুতগতি যায় দোহে ধেয়ে উৰ্দ্ধমুখে । ঐরাম-লক্ষণ নাই, শুস্তময় দেখে ॥ আশ্চৰ্য্য দেখিল তাহে সুড়ঙ্গ নিৰ্ম্মাণ । রাম-লক্ষণেরে না দেখিয়ে ফাটে প্রাণ ॥ কটকের মাঝে নাই স্ত্রীরাম-লক্ষণ । ভূমে গড়াগড়ি দিয়া কাব্দে বিভীষণ । সুগ্ৰীব অঙ্গদ আদি ঘুমে অচেতন। প্রমাদ পড়িল, উঠ বলে বিভীষণ । কটক-ভিতরে শুনে হৈল মহাগোল । বানর-মগুলে উঠে ক্ৰন্দনের রোল ৷ কান্দিছে সুগ্ৰীব রাজা নাহিক সংবিৎ (৪) । কোথা গেল লক্ষণ ঐরামচন্দ্র মিত ৷ ধরণ লোটায়ে কান্দে বীর হনুমান । রামের উদ্দেশে আমি ত্যজিব পরাণ ৷ - =F- o (১) নিৰ্ত্তি—প্ৰত্যহ। (২) মিতি-মিত্রতা বদ্ধতা। (৩) ৰল—এখানে কপটতা অর্থে প্রযুক্ত । (৪) সংবিৎ-চেতন ।
