পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ Հ নাচিতে নাচিতে তাতি বাড়িল তরঙ্গ । একলার করিলেক তারা তাল ভঙ্গ ॥ দেখিয়া করিল কোপ দেল পুরন্দর। অভিশাপ দিল পঞ্চ ক্যার উপর । যৌবনগর্বিবঙ্গ তোরা হয়েছিস্ মনে। বন্ধ হয়ে থাক্ বিশ্বামিত্ৰ-তপোবনে। পায়ে ধরি পঞ্চ কন্যা করেন ক্রন্দন । কতকালে হলে বল শাপ-পিমোচন। ইন্দ্র বলে, বন্দিরূপে থাক তপোবনে। মুক্ত হবে রাজা হরিশ্চন্দ্র-দরশনে ॥ নিত্য তারা নানা পুষ্প করে আহরণ। ডাল ভাঙ্গে, ফুল তোলে, কে করে লারণ ॥ শিষ্য সহ বিশ্বামিল গেল তপোলনে । ডাল-ভাঙ্গা গাছ সব দেখিল নয়নে ॥ এমন করিয়া ডাল ভাঙ্গে যেই জন । আইলে লাগিলে কালি লতার বন্ধন ॥ এত বলি শাপ তারে দিল মুনিলরে। প্রভাতে আইল তারা পুষ্প তুলিবারে । যেইকালে পঞ্চকন্যা ডালে ভর দিল । লতার বন্ধন হাতে তামনি লাগিল । প্রভাতে আসিয়া বিশ্বামিত্ৰ তপোবনে । লতাবদ্ধ কন্যাগণে দেখি হৃষ্টমনে । নানারূপে তাহাদেরে করিয়া ভৎসন । যথাস্থানে মুনিবর করিল গমন । হেনকালে তা হরিশচন্দ যশোধন । মুগয়া করিতে করিলেন আগমন ॥ মৃগ না পাইয়া অতি বাকুলিত মন । ক্লাস্ত হন নানা স্থান করিয়া ভ্রমণ ॥ [ আদিকাণ্ড মনস্তাপ পাইয়া বসিল তরুতলে । পঞ্চ ক্যা ডাকে উচ্চৈ হরিশ্চন্দ্ৰ ব’লে | ক্রনদন শুনিয়া রাজা গেল তপোলনে । স্পর্শ মাত্র মুক্ত হৈয়ে গেল পঞ্চজনে । আশচর্য্য দেখিয়া হরিশ্চন্দ যশোধন । সৈন্য সহ নিজরাজো করিল গমন । প্রাতঃকালে আইলেন গাধির নন্দন । পঞ্চকন্যা নাহি দেখি দুঃখিত হৈল মন । আমি যে বান্ধিনু ছাড়াইল কোন জন । সৰ্ব্বনাশ হৈল তার সংশয় জীবন । ধ্যান করি জানিলেন গাধির নন্দন । হরিশ্চন্দ্র ছাড়াইয়া দিল ক্যাগণ । মুনি ক্রোধ করিয়া যে চলিল সত্বর । উ রিল গিয়া মনি রাজার গোচর । মুনিরে দেপিয়া রাজা কৈল অভ্যর্থন। এস এস বলি দিল লসিতে আসন ॥ সফল ভবন মোর সফল জীবন । মোর গুহে আইলা যে গাধির নন্দন ॥ জলন্ত অনল যেন ললে পোধন । যে ক্যা লান্ধিৰ্ম্ম তীরে ছাড় কি কারণ । রাজা বলে, তারা মোরে কৈল আমন্ত্রণ। মিথ্যা না বলিল প্রভু করেছি মোচন । দান পুণা করি প্রভু তুষিয়ে ব্রাহ্মণ । আমা প্রতি ক্রোধ কেন কর অকারণ ॥ এ কথা শুনিয়া কহে গাধির কুমার। দান পুণ্য কর বলে কর অহঙ্কার । কি দান করিবা তুমি দেখি তব মন । আমারে কিঞ্চিৎ দান দেহ ত রাজন ।