ব্ৰহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি ও মাহাত্ম্য 岛°C ਲੇ গুৰু ধারায় আর দ্বিতীয় নাই, কিন্তু পিতা যখন সেই পরম পূজনীয়া মাতার গুরু, তখন শ্রেষ্ঠ গুরু পিতার বাক্য কি রূপে লঙ্ঘন করিব ? যাহার যুক্তি পূৰ্ণ বাঁকো এবং অদ্ভুত পিতৃভক্তি দর্শনে মুগ্ধ হইয়া জমদগ্নি সন্তুষ্টচিত্তে তাহার অনুরোধে অপরাপর শাপগ্ৰস্ত পুত্ৰ দিগকে মুক্তি দান করিয়াছিলেন ; যাহার কাতরোক্তিতে রেণুকাকে পুনৰ্জীবিত করিয়া আপন মহিমা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, আবার যাহার প্রার্থনায় জামদাগ্নির বর প্রভাবে রেণুকা, যে পরশুরাম কর্তৃক বিনষ্ট হইয়াছিলেন, তাহা তিনি কিছুই জানিতে পারেন নাই ; পরশুরাম মাতৃহত্যা মহাপাপ হইতে মুক্তি পাইবার জন্য বহু কষ্ট স্বীকার করিয়াও কিছুতেই নিষ্পাপ। চাইতে পারেন নাই । শেষ পিতার উপদেশ মত এই ব্ৰহ্মকুণ্ডে স্নান করিবামাত্ৰ তীৰ্থ প্রভাব্যবশতঃ মুক্তি পাইয়া হস্তসংবদ্ধ পরশু অস্ত্ৰ স্থলিত করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন ; যে ভগবান পরশুরাম এই পবিত্ৰ কুণ্ডের মাহাত্মা দর্শন করিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হইয়াছিলেন এবং ইহাকে তীর্থ শ্রেষ্ঠ জানিতে পারিপ্লা পাপীদিগের মুক্তির নিমিত্ত আপন অমোঘ অস্ত্ৰ “ পরশু” দ্বারা পথ প্ৰস্তুতপূৰ্ব্বক ঐ পবিত্ৰ কুণ্ডের জল মৰ্ত্তলোকে আনয়ন করিয়া অ্যাপন কীৰ্ত্তি স্থাপিত করিয়াছিলেন ; যে কুণ্ড হইতে এই জলধারা প্ৰবাহিত হইয়াছে, মৰ্ত্ত্যলোকে তিনিই ব্ৰহ্মপুত্ৰ নামে প্ৰসিদ্ধ স্তু ইয়াtৈঠ ন । ব্ৰলৈ পুত্ৰে ভক্তিসহকারে সঙ্কল্পপূর্বক স্নান, পিতৃপুরুষদিগের মুক্তি ক্যর্থনা করিয়া তৰ্পণ করিলে, ভগবান পরশুরামের রূপায় অন্তে তিনি //াির্মব্যৰ্থ বৈকুণ্ঠে স্থান প্রাপ্ত হয় । ইহাতে আমন্ত্রক স্নান করিলেও অশ্বমেধ যজ্ঞের ফললাভ হইয়া থাকে। যে ব্ৰহ্মপুত্রের এত মাহাত্ম্য, সেই ব্ৰহ্মপুত্ৰে ভক্তিসহকারে মন্ত্র উচ্চারণপূৰ্ব্বক স্নান এবং পিতৃপুরুষদিগের উদ্ধার কামনা করিয়া কাহার না তৰ্পণ করিতে ইচ্ছা হয় ? প্ৰতি চৈত্র
